ঈদের ছুটিতে দেশে এসেছিলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাঝিকান্দা সৌদি প্রবাসী পিতা মতিয়ার কাজী (৩৫)।
তবে বাড়িতে ফিরে পুত্রের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মতিয়ার মাঝিকান্দা গ্রামের মৃত ওদুদ কাজীর ছেলে। অল্প বয়সে বিয়ে করে ভাগ্য ফেরাতে তিনি প্রবাসে যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সৌদি আরব থেকে ঈদুল আজহার আগে মতিয়ার কাজী পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে দেশে আসেন।
তবে বাড়ি এসে দেখেন তার পুত্র মুন্না কাজী উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেছে। বন্ধুদের সঙ্গে বাজে আড্ডায় জড়িয়ে গেছে। পরিবারের লোকজনের কোনো কথা শুনে না।
স্কুলের লেখাপড়া বন্ধ করে তার ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরে। এমনকি সে নবম শ্রেণিতে উঠলেও স্কুলে যেত না। এ নিয়ে পিতা-পুত্রের কয়েক দফা কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার রাতে মুন্নার সঙ্গে তার বাবা মতিয়ার কাজীর ঝগড়ার একপর্যায়ে পুত্র মুন্না পিতার উপর দা নিয়ে চড়াও হয়।
পুত্রের এমন আচরণে রাগে-ক্ষোভে-অভিমানে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করেন। পরে তাকে না পেয়ে দরজা ভেঙে আঁড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলতে দেখে পুলিশ খবর দেন।
ভাঙ্গা থানার এসআই শওকত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বখাটে পুত্রের সঙ্গে অভিমান করে পিতা আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের অনুরোধে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post