২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করার পর ফের উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
এরই মধ্যে শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে একটি প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী। শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে মাত্র ছয় মাসেই কমপক্ষে চার লাখ শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি, আধুনিক জীবনযাত্রা, ভালো উপার্জন আর সাংস্কৃতিক মিল থাকায় নিরিবিলি বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর মালয়েশিয়ায় যান অসংখ্য কর্মী। বর্তমানে দেশটিতে রয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি।
গত বছরজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল নামমাত্র। আবার দেশে ছুটি কাটাতে এসে সেখানে কর্মরত প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি করোনার কারণে আটকে রয়েছেন। এসব কর্মী এখন দিন গুনছেন ফিরে যাওয়ার।
চাহিদা থাকায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হলে সরকারের বেঁধে দেওয়া খরচে কর্মী পাঠানোর কথা জানান এ খাতের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।
বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যারা বর্তমানে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদের বৈধ করার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে করোনার কারণে যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আরো পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে বিআইপি ব্যবহারে হিড়িক
করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি সচল করতেই মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কর্মী নেওয়ার ইঙ্গিতের কথা জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা সেটা দিয়ে স্টাডি করছি।
জানুয়ারিতে এই নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। এ ছাড়া শিগগির বসবে দ্বিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। কর্মী পাঠানোর সুযোগ মিললে শ্রমিক স্বার্থকে বড় করে দেখার কথা জোর দিয়ে জানালেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী। সূত্রঃ সময় টিভি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post