নতুন আইন চালু করেছে সুইডিশ পার্লামেন্ট। এখন থেকে নাতি-নাতনিদের দেখাশোনার জন্য বেতন পাবেন দাদা-দাদী। এমনকি সবেতনে চাকরি থেকে ছুটিও নিতে পারবেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আইন অনুযায়ী, দাদা-দাদিরা তাদের নাতি-নাতনিদের জন্মের এক বছরের মধ্যে তাদের যত্নের জন্য তিন মাসের ছুটি নিতে পারবেন। যেখানে তাদের মাসিক বেতন চলতে থাকবে।
গত ডিসেম্বরে মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বকালীন ভাতা স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারের প্রস্তাব অনুমোদন করার পর এই আইনটি পাস হয়। সুইডেনে মাতৃত্বের পাশাপাশি পিতারা সবেতনে ছুটি পান নির্দিষ্ট সময়।
আইন অনুযায়ী, পিতামাতা তাদের নির্ধারিত ছুটির একটা অংশ সন্তানের দাদা-দাদিকে হস্তান্তর করতে পারবেন। সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স এজেন্সির মতে, এক দম্পতি সর্বোচ্চ ৪৫ দিন ছুটি হস্তান্তর করতে পারবেন। তবে যদি দম্পতির একজন হন, তবে সর্বোচ্চ ৯০ দিন হস্তান্তর করার সুযোগ পাবেন তিনি।
এক কোটি জনসংখ্যার এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একটি সমাজ তৈরি করছে, যেখানে নাগরিকদের দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়।
সুইডেন এমন একটি দেশ, যেখানে সন্তান জন্ম হওয়ার পর অন্তত ৪৮০ দিন বা ১৬ মাস মায়েরা সবেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন।
তবে এর মধ্যে ৩৯০ দিনের জন্য তিনি শতভাগ বেতন পেয়ে থাকেন। আর বাকি ৯০ দিনের জন্য তার নির্ধারিত বেতনের একটি অংশ পেয়ে থাকেন।
এছাড়াও দেশটিতে সন্তান লালন-পালনের জন্য আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। যার একটি হচ্ছে, সন্তানের ৪ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা কম সময় কাজ করবেন। তবে এই সুবিধাটাও সরকারি চাকরিজীবীরা পান সন্তানের ১২ বছর পর্যন্ত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post