ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে কট্টর ডানপন্থি ও অভিবাসনবিরোধীদের উত্থানে ইউরোপ জুড়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
দেশটির ভবিষ্যৎ, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এমনকি সামাজিক সুযোগ-সুবিধায় কি পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ঐতিহ্য বহন করা ফ্রান্সে ডানপন্থিদের উত্থানে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে এগিয়ে আছে কট্টর ডানপন্থিরা। অন্যদিকে ভোটে ভরাডুবি ঘটেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোটের।
প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে থাকা ডানপন্থিরা যদি দ্বিতীয় দফায়ও এগিয়ে থাকে তবে ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ রাজনীতি, অভিবাসননীতি এমনকি সামাজিক সুযোগ-সুবিধায় কি পরিবর্তন আসবে তাই এখন ফ্রান্সজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে।
সাংবিধানিকভাবে-স্বাধীনতা, সাম্য ও ভাতৃত্বের ঐতিহ্য রয়েছে ফ্রান্সে। তবে উগ্র ডানপন্থিদের কাছে ক্ষমতা এলে তাতেও আঘাত আসতে পারে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এমনকি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েও নতুন সরকারের কঠোর হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে।
তারা বলছেন, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীন, ভিয়েতনাম সব দেশের মানুষ এখানে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছে। এই বিষয়টাতে যদি আঘাত আসে তাহলে অনেকেই হয়তো ফ্রান্সে বসবাস করার মতো অবস্থায় থাকবে না।
শুধু অভিবাসীরাই নয়, গেল কয়েক দশকের ফ্রান্সের রাজনৈতিক ইতিহাসে উগ্র ডানপন্থিদের এই উত্থানে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী উদার গণতান্ত্রিক মহলেও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর এই আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী হিসেবে দেখছেন। যে সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
প্রথম দফার পার্লামেন্ট নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থিদের এগিয়ে থাকার খবর প্রচারের পরপরই ফ্রান্সে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিক্ষোভের হয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তাদের রুখতে শুরু হয়েছে নানা প্রচার-প্রচারণা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post