প্রাচীনকালে হাল ফ্যাশনে আতরের ব্যবহার ছিল বেশি। আর বর্তমান সময়ে নানা ধরনের বডি স্প্রে বা পারফিউমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে বই কমছে না।
শরীরের দুর্গন্ধ এড়াতে আর বাতাসে সুগন্ধের রেশ ছড়িয়ে দিতে মানুষ সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই সুগন্ধি বা পারফিউমের দাম কোটির ঘর ছুঁতে পারে তা সত্যি অবিশ্বাস্য।
বিশ্বে এমন অনেক পারফিউমই রয়েছে যেগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া। মূলত দেশ বিদেশের এসব পারফিউমের দাম নির্ভর করে এর অসাধারণ সুবাস, বোতল ও প্যাকেজিংয়ের ওপর।
বিশ্বখ্যাত এমন সব দামি সুগন্ধির নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘শুমুখ’ এর নাম। ২০১৯ সালে নাবিল পারফিউম নামের সংস্থাটি এই সুগন্ধি তৈরি করে। এই সুগন্ধি বোতলটির দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা। তাই বর্তমান সময়ে শুমুখই বিশ্বের সবচেয়ে দামি সুগন্ধি।
দাম শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে কেন এই পারফিউমটির এত দাম রাখা হয়েছে। নাবিল পারফিউম কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবশ্য ২টি কারণ জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে।
দামি হওয়ার প্রথম কারণটি হলো সুগন্ধিটি তৈরির উপাদান। শুমুখ পারফিউমটি একটি উপাদানের নির্যাসের তৈরি নয়। বরং চন্দন, কস্তুরী এবং গোলাপ এই ৩টি নির্যাসের সমন্বয়ে এই সুগন্ধি তৈরি করা হয়েছে।
এই সুগন্ধিটি সফলভাবে তৈরি করতে ৩ বছরেরও বেশি সময় ব্যয় করা হয়। প্রায় ৪৯০ বারের চেষ্টার পর প্রস্তুতকারকেরা এই সুগন্ধি তৈরি করতে সমর্থ হয়।
শুমুখ পারফিউম হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি পারফিউম। যার দাম ১.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুমুখ একটি সুগন্ধি বোতলে যেটি সর্বাধিক হীরা সেট করা এবং দূরবর্তী নিয়ন্ত্রিত সুগন্ধি স্প্রে পণ্যের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এটি দুবাই শহরে বুর্জ খলিফার আরমানি বলরুমে চালু করা হয়েছিল। এটি ডিজাইন করেছেন আসগর আদম আলী যিনি নাবিল পারফিউম গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং একজন মহান মাস্টার পারফিউমার।
দামি এই শুমুখ পারফিউমে মন কাড়া সুবাসের পাশাপাশি এই বোতলে রয়েছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি হীরা, ২.৫ কেজি সোনা এবং ৫.৯ কেজি রুপা। আর এ কারণেই সব সময় ধনকুবেরদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এই পারফিউমটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post