পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর পুলিশের পরিচয় গোপন করে বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মীর্জা এবং তাদের দুই মেয়ের নামে পাঁচটি পাসপোর্ট রয়েছে। তাদের নামে ইস্যু হওয়া পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জানা যায়, পাসপোর্ট নবায়নের সময় বিষয়টি শনাক্ত হয়েছিল, তিনি তার প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে বেঁচে যান।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, বেনজীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। এছাড়া সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক। এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া বেনজীরের সম্পদগুলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত মে মাসের শুরুর দিকেই বেনজীর সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ১৩ জুন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ ছাড়ার কথা স্বীকার করেন বেনজীর। ওইদিন ঢাকার বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগপত্রে এ ঘোষণা দেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post