ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় শহর সেভাস্তোপলে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে রাশিয়া। রোববারের (২৩ জুন) ওই হামলার পর সোমবার ক্রেমলিন হুমকি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
সেই সঙ্গে মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন। রাশিয়া জানিয়েছে, রোববার সেভাস্তোপল বন্দরে যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন, তা যুক্তরাষ্ট্রই কিয়েভকে দিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে গুচ্ছবোমাও ছিল।
রোববারের অ্যাটাকমস নামের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ক্রিমিয়ায় হামলা চালায় ইউক্রেন। তাতে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হন। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি একটি সৈকতে পড়লে তার আঘাতে আরো অন্তত ১৫০ জন আহত হন।
এ হামলাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার শিশুদের হত্যা করছে।
তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ফলে রাশিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। ওয়াশিংটনকে অবশ্যই এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আর সময়ই বলে দেবে যে কীভাবে এর জবাব দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় প্রাণঘাতী হামলার জেরে সোমবার মস্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিনে ট্রেসিকে তলব করা হয়। ক্রিমিয়ায় এই হামলার জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও সমানভাবে দায়ী। ন্যাক্কারজনক এই হামলা জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রিই ইয়ারমাক বলেছেন, ক্রিমিয়া কখনোই রাশিয়ার ছিল না।
ক্রিমিয়া মানেই ইউক্রেন। রাশিয়াকে অবশ্যই উপদ্বীপটি ছেড়ে যেতে হবে ও সেখান থেকে সবকিছু নিয় তাদের সেনাবাহিনীকে চলে যেতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post