কানাডায় ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটরি রয়েছে। এই ৩টি টেরিটোরির মধ্যে ইউকন একটি। কানাডার ৩টি টেরিটোরি দেশটির উত্তর দিকে অবস্থিত। ইউকন কানাডার উত্তর-পশ্চিমে। টেরিটোরিগুলোর আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা থাকে।
ইউকন টেরিটোরিটি তার ঠান্ডার জন্য পরিচিত। তারপরও এখানে ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে ৩৫ হাজার ৮৭৪ জন বসবাস করে। এখানকার আয়তন হচ্ছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯১ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী হোয়াট হর্স। সেখানে লোক বাস করে ২৫ হাজারের ওপরে।
বাকি ১০ হাজার লোক বাস করে এই টেরিটোরির অন্য টাউন ও গ্রাম এলাকায়। ইউকন খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি প্রভিন্স। এগুলো এখনো উত্তোলন করা হয়নি।
আগামী দিনে কানাডিয়ান সরকার হয়তো এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কাজ হাতে নিতে পারে, সে কারণে এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা কিছু বিভিন্ন পেশার লোক এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার প্রতিটি জায়গায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সমান। এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, নর্থ-পুলের কাছে বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এখানে নাগরিক সুবিধা কম।
কোথায় সব তথ্য পাবেন
সরকারি ওয়েবসাইটে (www.canada.gc.ca) এবং (www.youkon.ca) গিয়ে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। কয়েকটি টাউন এবং সিটিতে চাকরির অফার খুঁজতে বলা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে রাজধানী হোয়াট হর্সসহ মোট ৬টি টাউনে চাকরি খুঁজতে বলা হয়েছে। বাকি ৫টি হচ্ছে ওয়াটসন লেক, ডসন সিটি, হাইনেস জাঙ্কশন, ক্যারম্যাক্স এবং কারক্রস।
কবে থেকে শুরু হয়েছে
পাইলট প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে। চলবে আগামী ৩ বছর। তবে কোভিডের কারণে এখন পর্যন্ত কেউ আসতে পারেননি। এই প্রোগ্রাম যদি সফলতার সঙ্গে চলে, তাহলে সরকার আরও চালিয়ে যাবে।
প্রোগ্রামের সুবিধাগুলো
এখানে বয়সের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বয়সের কোনো লিমিটের কথা বলা নেই। পড়াশোনা এইচএসসি পাস হলেই হবে। আইএলটিএসের স্কোরের কোনো কথা বলা হয়নি। তবে যাঁদের আইএলটিএস স্কোর থাকবে, তাঁরা সুবিধা পাবেন। কমপক্ষে ৫ হলে চলবে।
অসুবিধাগুলো
প্রথমে জব অফার নিয়ে আসতে হবে। কমপক্ষে ২টি জব অফার নিয়ে আসতে হবে। এই ২টি জব অফার এক টাউন থেকে হতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে দেশ থেকে যিনিই আসুক না কেন, তাঁদের যদি ওই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর নিজ দেশে না থাকে, তাহলে কোনো দিন তাঁরা ওই জবের অফার পাবেন না। এইচএসসি পাসের কথা বলা হলেও ওই কাজের জন্য ডিপ্লোমা না থাকলে জব অফার পাওয়া কঠিন হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এখানে অনেক ঠান্ডা থাকে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা মাইনাস ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতের সময় চলে যায়। আপনাকে ওই ধরনের ঠান্ডা সহ্য করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। কানাডার ১০টি প্রভিন্সে ঠান্ডা থাকলেও সেই ঠান্ডা সহনীয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এখানের ঠান্ডা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
জব কোথায় খুঁজবেন
এই প্রোগ্রামের জন্য চাকরি খুঁজতে কানাডার সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে (www.jobbank.gc.ca) ঢুঁ মারতে হবে। যখন আমি লেখাটি লিখছি, (১৯ ডিসেম্বর ২০২০) তখন ওয়েবসাইটে শুধু রাজধানী হোয়াট হর্সে ২৫৯টি জব পোস্টিং দেখতে পেয়েছি।
এর মধ্যে হাউস কিপিং থেকে শুরু করে কিচেন হেলপার, এমনকি সফটওয়্যার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্টের চাকরি পর্যন্ত রয়েছে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির অফারগুলোতে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং ওই ধরনের কোনো একাডেমিক পড়াশোনা থাকে, তাহলে আবেদন করতে পারেন যে কেউ।
আরো পড়ুনঃ করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় কঠোর সর্তকে ওমান
অন্য ৫টি টাউনেও চাকরি আছে। তা ছাড়া ইউকন টেরিটোরির সরকারি ওয়েবসাইটে (www.youkon.ca) জব পোস্টিং রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরে সেখানে ৪৩টি জবের অফার দেখা গেছে। আপনি তাদের কাছে আপনার রেজুমে পাঠাবেন। আপনার রেজুমে পছন্দ হলে ওরা আপনাকে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে। মনোনীত হলে ওরা আপনাকে জব অফার পাঠাবে।
জব অফার পাওয়ার পর করণীয় কী
যখন আপনি কমপক্ষে ২টি পার্ট টাইম জব অফার পাবেন, তখন আপনি কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (www.cic.gc.ca) ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনি আপনার স্পাউস (স্বামী/ স্ত্রী) এবং সন্তান নিয়ে যেতে পারবেন। তবে স্পাউসের কোনো জব অফার লাগবে না। ২ বছর কমপক্ষে আপনাকে ওই খানে থেকে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে আসছেন ওমানের সুলতান!
অন্য কোনো প্রভিন্সে আপনি যদি ২ বছরের মধ্যে মুভ করেন, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ে যাবে। ২ বছর ওই খানে চাকরি করার পর আপনি স্থায়ী বাসিন্দা (পারমান্যান্ট রেসিডেন্স) জন্য আবেদন করতে পারবেন। পারমান্যান্ট রেসিডেন্স পেলে আপনার যদি এই টেরিটোরি ভালো না লাগে, তাহলে আপনি কানাডার যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারেন।
তবে, যা মনে রাখতে হবে
এই অফারের সারা বিশ্ব থেকে আবেদন করছেন অনেকে। এই পাইলট প্রোগ্রামে বয়সের ব্যাপারটা অনেক শিথিল, শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম হলে চলবে এবং নামমাত্র আইইএলটিএস হলে হবে। সে কারণে আপনাকে ওই নির্দিষ্ট কাজে প্রকৃত অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা/ ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
কেউ আপনাকে যদি জব অফার এনে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে ভাববেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কানাডায় জব অফার শুধু যিনি আবেদন করেন এবং পরীক্ষা দেন, তাঁকেই দেওয়া হয়। এর জন্য কারও সঙ্গে কোনো টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না। নিজের জব নিজে জোগাড় করবেন। সূত্রঃ প্রথম আলো
কানাডায় ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটরি রয়েছে। এই ৩টি টেরিটোরির মধ্যে ইউকন একটি। কানাডার ৩টি টেরিটোরি দেশটির উত্তর দিকে অবস্থিত। ইউকন কানাডার উত্তর-পশ্চিমে। টেরিটোরিগুলোর আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা থাকে।
ইউকন টেরিটোরিটি তার ঠান্ডার জন্য পরিচিত। তারপরও এখানে ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে ৩৫ হাজার ৮৭৪ জন বসবাস করে। এখানকার আয়তন হচ্ছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯১ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী হোয়াট হর্স। সেখানে লোক বাস করে ২৫ হাজারের ওপরে।
বাকি ১০ হাজার লোক বাস করে এই টেরিটোরির অন্য টাউন ও গ্রাম এলাকায়। ইউকন খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি প্রভিন্স। এগুলো এখনো উত্তোলন করা হয়নি।
আগামী দিনে কানাডিয়ান সরকার হয়তো এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কাজ হাতে নিতে পারে, সে কারণে এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা কিছু বিভিন্ন পেশার লোক এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার প্রতিটি জায়গায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সমান। এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, নর্থ-পুলের কাছে বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এখানে নাগরিক সুবিধা কম।
কোথায় সব তথ্য পাবেন
সরকারি ওয়েবসাইটে (www.canada.gc.ca) এবং (www.youkon.ca) গিয়ে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। কয়েকটি টাউন এবং সিটিতে চাকরির অফার খুঁজতে বলা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে রাজধানী হোয়াট হর্সসহ মোট ৬টি টাউনে চাকরি খুঁজতে বলা হয়েছে। বাকি ৫টি হচ্ছে ওয়াটসন লেক, ডসন সিটি, হাইনেস জাঙ্কশন, ক্যারম্যাক্স এবং কারক্রস।
কবে থেকে শুরু হয়েছে
পাইলট প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে। চলবে আগামী ৩ বছর। তবে কোভিডের কারণে এখন পর্যন্ত কেউ আসতে পারেননি। এই প্রোগ্রাম যদি সফলতার সঙ্গে চলে, তাহলে সরকার আরও চালিয়ে যাবে।
প্রোগ্রামের সুবিধাগুলো
এখানে বয়সের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বয়সের কোনো লিমিটের কথা বলা নেই। পড়াশোনা এইচএসসি পাস হলেই হবে। আইএলটিএসের স্কোরের কোনো কথা বলা হয়নি। তবে যাঁদের আইএলটিএস স্কোর থাকবে, তাঁরা সুবিধা পাবেন। কমপক্ষে ৫ হলে চলবে।
অসুবিধাগুলো
প্রথমে জব অফার নিয়ে আসতে হবে। কমপক্ষে ২টি জব অফার নিয়ে আসতে হবে। এই ২টি জব অফার এক টাউন থেকে হতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে দেশ থেকে যিনিই আসুক না কেন, তাঁদের যদি ওই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর নিজ দেশে না থাকে, তাহলে কোনো দিন তাঁরা ওই জবের অফার পাবেন না। এইচএসসি পাসের কথা বলা হলেও ওই কাজের জন্য ডিপ্লোমা না থাকলে জব অফার পাওয়া কঠিন হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এখানে অনেক ঠান্ডা থাকে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা মাইনাস ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতের সময় চলে যায়। আপনাকে ওই ধরনের ঠান্ডা সহ্য করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। কানাডার ১০টি প্রভিন্সে ঠান্ডা থাকলেও সেই ঠান্ডা সহনীয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এখানের ঠান্ডা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
জব কোথায় খুঁজবেন
এই প্রোগ্রামের জন্য চাকরি খুঁজতে কানাডার সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে (www.jobbank.gc.ca) ঢুঁ মারতে হবে। যখন আমি লেখাটি লিখছি, (১৯ ডিসেম্বর ২০২০) তখন ওয়েবসাইটে শুধু রাজধানী হোয়াট হর্সে ২৫৯টি জব পোস্টিং দেখতে পেয়েছি।
এর মধ্যে হাউস কিপিং থেকে শুরু করে কিচেন হেলপার, এমনকি সফটওয়্যার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্টের চাকরি পর্যন্ত রয়েছে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির অফারগুলোতে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং ওই ধরনের কোনো একাডেমিক পড়াশোনা থাকে, তাহলে আবেদন করতে পারেন যে কেউ।
আরো পড়ুনঃ করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় কঠোর সর্তকে ওমান
অন্য ৫টি টাউনেও চাকরি আছে। তা ছাড়া ইউকন টেরিটোরির সরকারি ওয়েবসাইটে (www.youkon.ca) জব পোস্টিং রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরে সেখানে ৪৩টি জবের অফার দেখা গেছে। আপনি তাদের কাছে আপনার রেজুমে পাঠাবেন। আপনার রেজুমে পছন্দ হলে ওরা আপনাকে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে। মনোনীত হলে ওরা আপনাকে জব অফার পাঠাবে।
জব অফার পাওয়ার পর করণীয় কী
যখন আপনি কমপক্ষে ২টি পার্ট টাইম জব অফার পাবেন, তখন আপনি কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (www.cic.gc.ca) ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনি আপনার স্পাউস (স্বামী/ স্ত্রী) এবং সন্তান নিয়ে যেতে পারবেন। তবে স্পাউসের কোনো জব অফার লাগবে না। ২ বছর কমপক্ষে আপনাকে ওই খানে থেকে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে আসছেন ওমানের সুলতান!
অন্য কোনো প্রভিন্সে আপনি যদি ২ বছরের মধ্যে মুভ করেন, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ে যাবে। ২ বছর ওই খানে চাকরি করার পর আপনি স্থায়ী বাসিন্দা (পারমান্যান্ট রেসিডেন্স) জন্য আবেদন করতে পারবেন। পারমান্যান্ট রেসিডেন্স পেলে আপনার যদি এই টেরিটোরি ভালো না লাগে, তাহলে আপনি কানাডার যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারেন।
তবে, যা মনে রাখতে হবে
এই অফারের সারা বিশ্ব থেকে আবেদন করছেন অনেকে। এই পাইলট প্রোগ্রামে বয়সের ব্যাপারটা অনেক শিথিল, শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম হলে চলবে এবং নামমাত্র আইইএলটিএস হলে হবে। সে কারণে আপনাকে ওই নির্দিষ্ট কাজে প্রকৃত অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা/ ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
কেউ আপনাকে যদি জব অফার এনে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে ভাববেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কানাডায় জব অফার শুধু যিনি আবেদন করেন এবং পরীক্ষা দেন, তাঁকেই দেওয়া হয়। এর জন্য কারও সঙ্গে কোনো টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না। নিজের জব নিজে জোগাড় করবেন। সূত্রঃ প্রথম আলো
কানাডায় ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটরি রয়েছে। এই ৩টি টেরিটোরির মধ্যে ইউকন একটি। কানাডার ৩টি টেরিটোরি দেশটির উত্তর দিকে অবস্থিত। ইউকন কানাডার উত্তর-পশ্চিমে। টেরিটোরিগুলোর আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা থাকে।
ইউকন টেরিটোরিটি তার ঠান্ডার জন্য পরিচিত। তারপরও এখানে ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে ৩৫ হাজার ৮৭৪ জন বসবাস করে। এখানকার আয়তন হচ্ছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯১ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী হোয়াট হর্স। সেখানে লোক বাস করে ২৫ হাজারের ওপরে।
বাকি ১০ হাজার লোক বাস করে এই টেরিটোরির অন্য টাউন ও গ্রাম এলাকায়। ইউকন খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি প্রভিন্স। এগুলো এখনো উত্তোলন করা হয়নি।
আগামী দিনে কানাডিয়ান সরকার হয়তো এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কাজ হাতে নিতে পারে, সে কারণে এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা কিছু বিভিন্ন পেশার লোক এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার প্রতিটি জায়গায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সমান। এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, নর্থ-পুলের কাছে বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এখানে নাগরিক সুবিধা কম।
কোথায় সব তথ্য পাবেন
সরকারি ওয়েবসাইটে (www.canada.gc.ca) এবং (www.youkon.ca) গিয়ে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। কয়েকটি টাউন এবং সিটিতে চাকরির অফার খুঁজতে বলা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে রাজধানী হোয়াট হর্সসহ মোট ৬টি টাউনে চাকরি খুঁজতে বলা হয়েছে। বাকি ৫টি হচ্ছে ওয়াটসন লেক, ডসন সিটি, হাইনেস জাঙ্কশন, ক্যারম্যাক্স এবং কারক্রস।
কবে থেকে শুরু হয়েছে
পাইলট প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে। চলবে আগামী ৩ বছর। তবে কোভিডের কারণে এখন পর্যন্ত কেউ আসতে পারেননি। এই প্রোগ্রাম যদি সফলতার সঙ্গে চলে, তাহলে সরকার আরও চালিয়ে যাবে।
প্রোগ্রামের সুবিধাগুলো
এখানে বয়সের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বয়সের কোনো লিমিটের কথা বলা নেই। পড়াশোনা এইচএসসি পাস হলেই হবে। আইএলটিএসের স্কোরের কোনো কথা বলা হয়নি। তবে যাঁদের আইএলটিএস স্কোর থাকবে, তাঁরা সুবিধা পাবেন। কমপক্ষে ৫ হলে চলবে।
অসুবিধাগুলো
প্রথমে জব অফার নিয়ে আসতে হবে। কমপক্ষে ২টি জব অফার নিয়ে আসতে হবে। এই ২টি জব অফার এক টাউন থেকে হতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে দেশ থেকে যিনিই আসুক না কেন, তাঁদের যদি ওই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর নিজ দেশে না থাকে, তাহলে কোনো দিন তাঁরা ওই জবের অফার পাবেন না। এইচএসসি পাসের কথা বলা হলেও ওই কাজের জন্য ডিপ্লোমা না থাকলে জব অফার পাওয়া কঠিন হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এখানে অনেক ঠান্ডা থাকে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা মাইনাস ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতের সময় চলে যায়। আপনাকে ওই ধরনের ঠান্ডা সহ্য করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। কানাডার ১০টি প্রভিন্সে ঠান্ডা থাকলেও সেই ঠান্ডা সহনীয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এখানের ঠান্ডা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
জব কোথায় খুঁজবেন
এই প্রোগ্রামের জন্য চাকরি খুঁজতে কানাডার সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে (www.jobbank.gc.ca) ঢুঁ মারতে হবে। যখন আমি লেখাটি লিখছি, (১৯ ডিসেম্বর ২০২০) তখন ওয়েবসাইটে শুধু রাজধানী হোয়াট হর্সে ২৫৯টি জব পোস্টিং দেখতে পেয়েছি।
এর মধ্যে হাউস কিপিং থেকে শুরু করে কিচেন হেলপার, এমনকি সফটওয়্যার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্টের চাকরি পর্যন্ত রয়েছে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির অফারগুলোতে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং ওই ধরনের কোনো একাডেমিক পড়াশোনা থাকে, তাহলে আবেদন করতে পারেন যে কেউ।
আরো পড়ুনঃ করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় কঠোর সর্তকে ওমান
অন্য ৫টি টাউনেও চাকরি আছে। তা ছাড়া ইউকন টেরিটোরির সরকারি ওয়েবসাইটে (www.youkon.ca) জব পোস্টিং রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরে সেখানে ৪৩টি জবের অফার দেখা গেছে। আপনি তাদের কাছে আপনার রেজুমে পাঠাবেন। আপনার রেজুমে পছন্দ হলে ওরা আপনাকে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে। মনোনীত হলে ওরা আপনাকে জব অফার পাঠাবে।
জব অফার পাওয়ার পর করণীয় কী
যখন আপনি কমপক্ষে ২টি পার্ট টাইম জব অফার পাবেন, তখন আপনি কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (www.cic.gc.ca) ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনি আপনার স্পাউস (স্বামী/ স্ত্রী) এবং সন্তান নিয়ে যেতে পারবেন। তবে স্পাউসের কোনো জব অফার লাগবে না। ২ বছর কমপক্ষে আপনাকে ওই খানে থেকে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে আসছেন ওমানের সুলতান!
অন্য কোনো প্রভিন্সে আপনি যদি ২ বছরের মধ্যে মুভ করেন, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ে যাবে। ২ বছর ওই খানে চাকরি করার পর আপনি স্থায়ী বাসিন্দা (পারমান্যান্ট রেসিডেন্স) জন্য আবেদন করতে পারবেন। পারমান্যান্ট রেসিডেন্স পেলে আপনার যদি এই টেরিটোরি ভালো না লাগে, তাহলে আপনি কানাডার যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারেন।
তবে, যা মনে রাখতে হবে
এই অফারের সারা বিশ্ব থেকে আবেদন করছেন অনেকে। এই পাইলট প্রোগ্রামে বয়সের ব্যাপারটা অনেক শিথিল, শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম হলে চলবে এবং নামমাত্র আইইএলটিএস হলে হবে। সে কারণে আপনাকে ওই নির্দিষ্ট কাজে প্রকৃত অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা/ ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
কেউ আপনাকে যদি জব অফার এনে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে ভাববেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কানাডায় জব অফার শুধু যিনি আবেদন করেন এবং পরীক্ষা দেন, তাঁকেই দেওয়া হয়। এর জন্য কারও সঙ্গে কোনো টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না। নিজের জব নিজে জোগাড় করবেন। সূত্রঃ প্রথম আলো
কানাডায় ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটরি রয়েছে। এই ৩টি টেরিটোরির মধ্যে ইউকন একটি। কানাডার ৩টি টেরিটোরি দেশটির উত্তর দিকে অবস্থিত। ইউকন কানাডার উত্তর-পশ্চিমে। টেরিটোরিগুলোর আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা থাকে।
ইউকন টেরিটোরিটি তার ঠান্ডার জন্য পরিচিত। তারপরও এখানে ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুসারে ৩৫ হাজার ৮৭৪ জন বসবাস করে। এখানকার আয়তন হচ্ছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯১ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী হোয়াট হর্স। সেখানে লোক বাস করে ২৫ হাজারের ওপরে।
বাকি ১০ হাজার লোক বাস করে এই টেরিটোরির অন্য টাউন ও গ্রাম এলাকায়। ইউকন খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি প্রভিন্স। এগুলো এখনো উত্তোলন করা হয়নি।
আগামী দিনে কানাডিয়ান সরকার হয়তো এই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কাজ হাতে নিতে পারে, সে কারণে এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা কিছু বিভিন্ন পেশার লোক এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।
কানাডার প্রতিটি জায়গায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সমান। এখানে আপনি সব ধরনের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, নর্থ-পুলের কাছে বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে এখানে নাগরিক সুবিধা কম।
কোথায় সব তথ্য পাবেন
সরকারি ওয়েবসাইটে (www.canada.gc.ca) এবং (www.youkon.ca) গিয়ে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। কয়েকটি টাউন এবং সিটিতে চাকরির অফার খুঁজতে বলা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে রাজধানী হোয়াট হর্সসহ মোট ৬টি টাউনে চাকরি খুঁজতে বলা হয়েছে। বাকি ৫টি হচ্ছে ওয়াটসন লেক, ডসন সিটি, হাইনেস জাঙ্কশন, ক্যারম্যাক্স এবং কারক্রস।
কবে থেকে শুরু হয়েছে
পাইলট প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে। চলবে আগামী ৩ বছর। তবে কোভিডের কারণে এখন পর্যন্ত কেউ আসতে পারেননি। এই প্রোগ্রাম যদি সফলতার সঙ্গে চলে, তাহলে সরকার আরও চালিয়ে যাবে।
প্রোগ্রামের সুবিধাগুলো
এখানে বয়সের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বয়সের কোনো লিমিটের কথা বলা নেই। পড়াশোনা এইচএসসি পাস হলেই হবে। আইএলটিএসের স্কোরের কোনো কথা বলা হয়নি। তবে যাঁদের আইএলটিএস স্কোর থাকবে, তাঁরা সুবিধা পাবেন। কমপক্ষে ৫ হলে চলবে।
অসুবিধাগুলো
প্রথমে জব অফার নিয়ে আসতে হবে। কমপক্ষে ২টি জব অফার নিয়ে আসতে হবে। এই ২টি জব অফার এক টাউন থেকে হতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে দেশ থেকে যিনিই আসুক না কেন, তাঁদের যদি ওই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর নিজ দেশে না থাকে, তাহলে কোনো দিন তাঁরা ওই জবের অফার পাবেন না। এইচএসসি পাসের কথা বলা হলেও ওই কাজের জন্য ডিপ্লোমা না থাকলে জব অফার পাওয়া কঠিন হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এখানে অনেক ঠান্ডা থাকে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা মাইনাস ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতের সময় চলে যায়। আপনাকে ওই ধরনের ঠান্ডা সহ্য করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। কানাডার ১০টি প্রভিন্সে ঠান্ডা থাকলেও সেই ঠান্ডা সহনীয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এখানের ঠান্ডা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
জব কোথায় খুঁজবেন
এই প্রোগ্রামের জন্য চাকরি খুঁজতে কানাডার সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে (www.jobbank.gc.ca) ঢুঁ মারতে হবে। যখন আমি লেখাটি লিখছি, (১৯ ডিসেম্বর ২০২০) তখন ওয়েবসাইটে শুধু রাজধানী হোয়াট হর্সে ২৫৯টি জব পোস্টিং দেখতে পেয়েছি।
এর মধ্যে হাউস কিপিং থেকে শুরু করে কিচেন হেলপার, এমনকি সফটওয়্যার টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্টের চাকরি পর্যন্ত রয়েছে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির অফারগুলোতে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং ওই ধরনের কোনো একাডেমিক পড়াশোনা থাকে, তাহলে আবেদন করতে পারেন যে কেউ।
আরো পড়ুনঃ করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় কঠোর সর্তকে ওমান
অন্য ৫টি টাউনেও চাকরি আছে। তা ছাড়া ইউকন টেরিটোরির সরকারি ওয়েবসাইটে (www.youkon.ca) জব পোস্টিং রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরে সেখানে ৪৩টি জবের অফার দেখা গেছে। আপনি তাদের কাছে আপনার রেজুমে পাঠাবেন। আপনার রেজুমে পছন্দ হলে ওরা আপনাকে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকবে। মনোনীত হলে ওরা আপনাকে জব অফার পাঠাবে।
জব অফার পাওয়ার পর করণীয় কী
যখন আপনি কমপক্ষে ২টি পার্ট টাইম জব অফার পাবেন, তখন আপনি কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (www.cic.gc.ca) ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনি আপনার স্পাউস (স্বামী/ স্ত্রী) এবং সন্তান নিয়ে যেতে পারবেন। তবে স্পাউসের কোনো জব অফার লাগবে না। ২ বছর কমপক্ষে আপনাকে ওই খানে থেকে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে আসছেন ওমানের সুলতান!
অন্য কোনো প্রভিন্সে আপনি যদি ২ বছরের মধ্যে মুভ করেন, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ে যাবে। ২ বছর ওই খানে চাকরি করার পর আপনি স্থায়ী বাসিন্দা (পারমান্যান্ট রেসিডেন্স) জন্য আবেদন করতে পারবেন। পারমান্যান্ট রেসিডেন্স পেলে আপনার যদি এই টেরিটোরি ভালো না লাগে, তাহলে আপনি কানাডার যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারেন।
তবে, যা মনে রাখতে হবে
এই অফারের সারা বিশ্ব থেকে আবেদন করছেন অনেকে। এই পাইলট প্রোগ্রামে বয়সের ব্যাপারটা অনেক শিথিল, শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম হলে চলবে এবং নামমাত্র আইইএলটিএস হলে হবে। সে কারণে আপনাকে ওই নির্দিষ্ট কাজে প্রকৃত অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা/ ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
কেউ আপনাকে যদি জব অফার এনে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে ভাববেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কানাডায় জব অফার শুধু যিনি আবেদন করেন এবং পরীক্ষা দেন, তাঁকেই দেওয়া হয়। এর জন্য কারও সঙ্গে কোনো টাকাপয়সার লেনদেন করবেন না। নিজের জব নিজে জোগাড় করবেন। সূত্রঃ প্রথম আলো
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post