পেশাদার শিল্পী না হলেও শখের বশে হলেও একের পর এক গান গেয়ে সাড়া জাগাচ্ছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম। এবার প্রবাসীদের নিয়ে গান গাইলেন তিনি। থামানো যাচ্ছে না হিরো আলমকে, সমালোচনার তীর উপেক্ষা করে একের পর এক গান গেয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অনেকটাই যেন ‘ড্যাম কেয়ার’ ভাব তার মাঝে। মনে হচ্ছে কোনো সমালোচনাই তার এই গান গাওয়া আ’ট’কাতে পারবে না। এবার প্রবাসীদের নিয়ে গান প্রকাশ করলেন হিরো আলম।
সদ্য মুক্তি পাওয়া এই গানটিতে কোনো রকম ভূমিকা ছাড়াই দেখা যাচ্ছে আলমকে। গানটি মুক্তির পর অনেক প্রবাসী মন্তব্য করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। সেখানে সমালোচনা থাকলেও কেউ কেউ প্রশংসাও করছেন গানটির।
এক সাক্ষাৎকারে হিরো আলম বলেন, ‘দেশের অনেক অভিনয়শিল্পী গান করেছেন। তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’ তবে গান করার ইচ্ছে তাঁর আগেও ছিল। এই সময়টাকেই গান করা ও প্রকাশ করার উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে তাঁর।
হিরো আলম বলেন, ‘আমাদের চঞ্চল (চঞ্চল চৌধুরী), শাওন (মেহের আফরোজ শাওন), ফারিয়া (নুসরাত ফারিয়া) পারলে আমি কেন পারব না। তারা অভিনয় করে গান করেছে, আমিও চেষ্টা করলাম। চেষ্টা করলে দোষ কী? তাদের দেখেই আমিও বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় গান করলাম। দেখলাম শখের বসে গান করতে কেমন লাগে।’
নেতিবাচক আলোচনার মধ্য দিয়েই ফেসবুকে আলোচিত হয়েছেন হিরো আলম। তবে তিনি মনে করেন, যেকোনো বিষয়ের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই রকম প্রতিক্রিয়া থাকবে। এখন আর নেতিবাচক কোনো মন্তব্যকে তিনি ভয় পান না।
আলম বলেন, ‘আমি যখন হিরো হতে চাইলাম, তখন একশ্রেণির মানুষের সহ্য হলো না। যখন আমি নির্বাচন করি, তখনো অনেকের সহ্য হয়নি। আবার হলে যখন ছবি মুক্তি দিলাম, তখনো অনেকে পেছনে লাগল। ক্যারে ভাই, আমি হিরো আলম কী করিছি। গান করলাম, তাও মানুষের সহ্য হচ্ছে না। আমার কিছু ভাইরাল হলেই মানুষ আমার পিছে ল্যাগে যায়।’
আরো পড়ুনঃ বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ব্যবহার করা হবে নতুন প্রযুক্তি
শুরুতে হিরো আলম চেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠিত কোনো শিল্পীর গান কাভার করবেন। এ জন্য যোগাযোগ করেছিলেন বেশ কয়েকজন গায়ক-গায়িকার সঙ্গে। কিন্তু সবাই তাঁকে হতাশ করেছেন। শুনিয়েছেন নানা কটু কথা।
পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, নিজেই গান লিখবেন। তিনি বেছে নেন ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামকে। বাজারে এই শিরোনামে আলোচিত আরেকটি গান থাকলেও তিনি সেই শিরোনামকে কাজে লাগিয়েই আবার গান লিখলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক গায়কের কাছে গান করার জন্য একটা গান চাইছিলাম। তারা আমাকে সরাসরি “না” করে দিছে। তারা অনেকেই বলেছে, আমাকে দিয়ে গান করালে কেমন দেখায়। কেউ আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। তাদের কথায় কষ্ট পেলাম। তখন আমার মনে ক্ষোভ হলো। ভাবলাম নিজেই গান লিখে গাইব।’
আরো পড়ুনঃ চরম টিকিট সংকটে ওমান প্রবাসীরা
তবে নিজের প্রথম গান নিয়ে সন্তুষ্ট হিরো আলম। কে কী বলছে, সেসবে মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি। ইতিবাচক বা নেতিবাচক, যে যা-ই বলুক, তিনি যে সাড়া পেয়েছেন, এতেই তিনি খুশি। তিন গুণ ডিজলাইক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকের গান ভালো লাগেনি।
অনেকেই তাঁকে পছন্দ করেন না। সেই হিসেবে গানে ডিজলাইক দিয়েছেন। অনেক গায়ক আছেন, তাঁরা মনে করছেন এত দিন ধরে তাঁরা গানের জগতে এসে কিছুই করতে পারলেন না।
আরো পড়ুনঃ করোনা নিয়ন্ত্রণে আরো কড়াকড়ি আরোপ করলো ওমান
আর আমি হিরো আলম একটা গান করেই ভাইরাল হয়ে গেলাম। আমাকে নিচে নামানোর চিন্তা করেই অনেকে ডিজলাইক দিয়েছেন। অনেকেই আবার গান না শুনে হুজুগে ডিজলাইক দিছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর হিরো আলম তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘বাবু খাইছো’ নামে একটি গান রিলিজ করেন। এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসলেই থেমে থামেনকি আলম। তিনি ধারাবাহিকভাবে গান করে যাচ্ছেন, এরই মধ্যে তার হিন্দি ও ইংরেজি লিরিক্সের গানও মুক্তি পেয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post