২০ হাজার ভিসা প্রত্যাশীর পাসপোর্ট আটকে আছে বাংলাদেশের ইতালিয়ান দূতাবাসে। এমন তথ্য একাত্তরকে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, প্রতিদিন একশ’র বেশি ভিসা দেবার ক্ষমতা নেই তার দূতাবাসের। তাই গত বছর থেকে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা দ্রুত ফেরত পাচ্ছেন না তাদের পাসপোর্ট।
বরিশালের আজিজ প্রতি মাসেই ঢাকায় আসেন ভিসার খবর নিতে। গেলো বছর আগস্টে ইতালির কাজের অনুমোদন অর্থাৎ নুলাস্তাসহ পাসপোর্ট তিনি জমা দিয়েছেন দূতাবাসের অনুমোদিত এজেন্সি ভিএফএস এর কাছে। কিন্তু এখনো পাননি কোনো সদুত্তর।
কবে পাবেন পাসপোর্ট আর সুযোগ হবে ইতালি যাবার তা জানতে প্রতিদিন এমন অনেকেই আসেন গুলশানের ভিএফএস অফিসের সামনে।
মূলত ভিসা প্রত্যাশীরা ঢাকা সিলেট এবং চট্টগ্রামে ভিএফএসের এপয়েনমেন্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেন। কেন ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত একাত্তরকে বলেন, নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা।
ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, মূলত পাঁচ কারণে ভিসা দিতে দেরি হচ্ছে। জমা দেয়া পাঁচটি নুলাস্তার মধ্যে একটি সঠিক নয়। যা যাচাই বাছাই করতে সময় দরকার।
গেলো বছর জুলাইয়ের পর আবেদনের সংখ্যাটা এতোটাই বাড়ে যে আমাদের লোকবল এটি সামাল দিতে পারছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে মিথ্যা স্বপ্ন দেখান প্রবাসীদের।
কাজের ভিসা ছাড়াও অন্যান্য ভিসার চাপও বেড়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতালি সরকারকে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্যপ্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
তিনি আরও বলেন, আমি দুঃখিত দেরি হবার জন্য।
এখানে ভিএফএস গ্লোবালে কিছু করার নেই। ভিসা আবেদনকারীরা যতোই আন্দোলন করুক এটি দূতাবাসের সমস্যা। প্রতিদিন ১০০ বেশি পাসপোর্ট দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
বর্তমানে ইতালি যাবার জন্য মূল পাসপোর্ট জমা রাখতে হয় না। এছাড়া আবেদনের পরই কাজের অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয় না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post