যুক্তরাষ্ট্রে এক নারীকে মৃত ঘোষণার পর দাফনের জন্য কবরস্থান নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দাফনের আগমুহূর্তে জেগে ওঠেন ওই নারী।
এ ঘটনায় সেখানে থাকা ব্যক্তিরা হকচকিয়ে যান। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তারা। পরে দ্রুত ওই নারীকে আবারও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে। এ নিয়ে তদন্তেও নেমেছে কর্তৃপক্ষ।
নার্সিং হোমেই থাকতেন ৭৪ বছর বয়সী ওই নারী। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানায়, মারা গেছেন তিনি। এরপর তাকে দাফনের জন্য করবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা হঠাৎ করে বুঝতে পারেন তখনও বেঁচে আছেন ওই বৃদ্ধা। তখন জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাসকার রাজধানী লিংকনে সোমবার এ ঘটনা ঘটে। ফিউনারেল হোমে জেগে উঠলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়েন কনসটেন্স গ্লান্টজ নামের ওই নারী।
মৃত ঘোষণার দুই ঘণ্টা পরও তাকে নিঃশ্বাস নিতে দেখা যায়। এরপর তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করতে জরুরি চিকিৎসা সিপিআর দেওয়া হয়। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ওই নার্সিং হোম ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করেছে বলে কোনো প্রমাণ পায়নি তারা। কনসটেন্সকে নার্সিং হোমের হসপিস কেয়ারে রাখা হয়েছিল।
তাই মৃত ঘোষণার পর তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। কেননা হসপিস কেয়ারে যেহেতু মরণাপন্ন রোগী রাখা হয়, তাই ময়নাতদন্তের প্রয়োজন হয়নি।
জানা গেছে, কনসটেন্সকে মৃত্যুর সাত দিন আগে থেকে একজন চিকিৎসক নিয়মিত দেখছিল। তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, ওই চিকিৎসক তার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দিতে চেয়েছিলেন।
তাই কনসটেন্সের মৃত্যুর সময় সন্দেহ করার মতো কিছু ছিল না। পরে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো কনসটেন্সকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এবার ঠিকই কনসটেন্সের ময়নাতদন্ত করা হবে। আর তার ফলাফল হাতে পেতে লেগে যেতে পারে তিন মাস। তবে শুধু কনসটেন্সই নয়, মৃত ঘোষণার পর জেগে ওঠার এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে অ্যাঙ্গলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের সিনিয়র লেকচারার ড. স্টিফেন হিউজ জানান, এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু ‘মৃত্যু একটি প্রক্রিয়া মাত্র’। কখনও কখনও মনে হতে পারে, কারও মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তিনি আসলে মারা যাননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post