ওমানে যাওয়ার পিছনে প্রধান কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি ছিলো ওমানের বিখ্যাত রুব আল খালি মরুভুমি স্বচক্ষে দেখা এবং সেখানে একটি রাত কাটানো।
অনেকেই জানেনা যে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় কন্টিনিউ বালুর মরুভুমি কিন্তু এরাবিয়ান পেনিন্সুলাতে অবস্থিত এই রুব আল খালি মরুভুমি।
আয়তনের দিক থেকে সাহারা মরুভুমি বিশ্বের সবথেকে বড় মরুভুমি হলেও তার পুরোটা বালুর নয়, সেখানে মাঝে মাঝে পাথর রয়েছে এবং ছোট ছোট গ্রাম অথবা শহরও রয়েছে।
রুব আল খালি মরুভুমি অবস্থিত ওমান, সাউদি, ইয়েমেন এবং আরব আমিরাত সহকারে ৬৫০০০০ বর্গ কিলোমিটার এরিয়া নিয়ে।
তবে সৌন্দর্যের দিক থেকে ওমানের অংশটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ সব থেকে উঁচু উঁচু বালুর ডিউন্স গুলো ওমানে অবস্থিত। কয়েক বছর আগে বিশ্বের সবথেকে উঁচু বালুর ডিউন মাপা হয়েছিলো ওমানের এই রুব আল খালি মরুভূমিতে।
চিন্তা করুন ডিউনটি ছিলো ৪৫৫ মিটার উঁচু। যেহেতু ডিউন গুলোর উচ্চতা বাতাসের ওপর নির্ভরশীল সুতরাং এই উচ্চতার কম-বেশি হয়ে থাকে।
এতো উঁচু ডিউন দেখতে হলে মরুভূমির অনেক ভিতরে প্রবেশ করতে হতো এবং সেই সময় আমার ছিলোনা। তবে আমি যেখানে ক্যাম্পিং করেছিলাম সেখান থেকেও যেই ডিউন দেখেছি সেটিও ছিলো উঁচু একটি পাহাড়ের সমান।
আমি অনেক মরুভুমি দেখেছি কিন্তু রুব আল খালির মত এতো উঁচু উঁচু ডিউন আমি কখনো দেখিনি। ডিউন গুলো এতো উঁচু ছিলো যে পায়ে হেটে সেখানে উঠা ছিলো বিরাট বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
আমার মত একজন মরুভুমি প্রেমিকের জন্য এই মরুভুমির ওপর উঠে নরম বালুর ওপর শুয়ে শুয়ে সূর্যাস্ত দেখা ছিলো আমার ওমান ট্যুর এর সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত গুলোর একটি।
আমার ক্যাম্প এরিয়া ছিলো ডিউন গুলোর নিচে একটি খোলা ভ্যালিতে। ছোট-ছোট ট্র্যাডিশনাল বাড়িঘর বানিয়ে তারা খুবই সুন্দর একটি পরিবেশ ক্রিয়েট করেছে যেখানে একদিন থাকা আসলে খুব কম হয়ে যায়।
এই ধরণের পরিবেশে অন্তত ২ দিন না থাকতে পারলে মন ভরেনা। ইনশাআল্লাহ আগামী বার আমি ওমান গেলে পরিবার নিয়ে যাবো এবং এই ক্যাম্পেই রাত্রি যাপন করবো। ডিনার ও ব্রেকফাস্ট মিলিয়ে এই ক্যাম্পে এক রাত থাকার জন্য আমাকে দিতে হয়েছে ৭০ ইউএস ডলারের মত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post