চুক্তির শর্ত ভেঙে ডলারের পরিবর্তে মালদ্বীপে প্রবাসী কর্মীদের বেতন দেয়া হচ্ছে স্থানীয় মুদ্রায়। বেশিরভাগ নিয়োগদাতার এমন কাণ্ড আর মুদ্রার মানের পার্থক্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রবাসীরা।
জীবিকার তাগিদে মালদ্বীপে বসবাস করেন ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি। তাদের নিয়োগের সময় ডলারে বেতন দেয়ার কথা থাকলেও তা না মানার প্রবণতা বেশ পুরোনো। দেশটিতে যাওয়া নতুন কর্মীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
নতুন করে দেশটিতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী। কষ্টার্জিত আয়ের বড় একটি অংশই তারা দেশে পাঠান। তবে এর আগে মানি এক্সচেঞ্জার কিংবা কালোবাজার থেকে রুফিয়ার বিপরীতে ডলার সংগ্রহ করতে হয় তাদের। প্রবাসীরা বলছেন, ‘দেশটিতে ১৫ দশমিক ৪২ রুফিয়া দিয়ে ১ ডলার পাওয়ার কথা থাকলেও কালোবাজারে গুনতে হয় বাড়তি অর্থ।’
মালদ্বীপে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের ব্যাংকিং সুবিধা থাকলেও নেই বাংলাদেশি কোনো ব্যাংকের বাণিজ্যিক শাখা। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানও চান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ নিয়ে আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর সোহেল পারভেজ বলেন, মালদ্বীপ থেকে স্থানীয় মুদ্রায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে ডলার দিয়েই রেমিট্যান্স পাঠাতে হয়। এক্ষেত্রে সরকারি যে হার তা দিয়ে ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
মালদ্বীপে যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা চালু হলে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বৈধপথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post