সিট বেল্ট সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সোয়া দুই লাখেরও বেশি গাড়ি ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। সিট বেল্ট সতর্কীকরণ সিস্টেমটি যথাসময়ে বন্ধ না হওয়ার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, টেসলার গাড়িতে চালক সিট বেল্ট বাঁধতে ভুলে গেলে ‘সিট বেল্ট সতর্কীকরণ’ সিস্টেমের মাধ্যমে রিমাইন্ডার সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু গাড়িতে এই সিস্টেমটি যথাসময়ে বন্ধ হচ্ছিল না, যার ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সড়ক নিরাপত্তা বিভাগ ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) জানায়, টেসলার নির্দিষ্ট কয়েকটি মডেলের গাড়িতে সিট বেল্টের বাঁধার জন্য দেওয়া বিভিন্ন রিমাইন্ডার বা সংকেত নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হচ্ছিল না। এতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে দেশটির ফেডারেল আইনের শর্ত লঙ্ঘন হচ্ছিল।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০৪টি গাড়ির মালিক বা চালক টেসলার গাড়ির বিশেষ এই ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ওয়ারেন্টি দাবি করেছেন। তবে এই ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো সংঘর্ষ, প্রাণহানির কথা শোনা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, সিট বেল্ট সমস্যার কারণে ২০১২-২০২৪ মডেল এস, ২০১৫-২০২৪ মডেল এক্স, ২০১৭-২০২৩ মডেল ৩ ও ২০২০-২০২৩ মডেল ওয়াই-এর সোয়া দুই লাখ গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টেসলা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক চলতি জুন মাস থেকে ত্রুটি থাকা গাড়িগুলোতে বিনামূল্যে অনলাইন সফটওয়্যার আপডেট শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এর ফলে চালকদের ‘সিট অকুপেন্সি সুইচে’র ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
এর আগে, গত মাসে ২০২৪ মডেলের সাইবারট্রাকগুলোর মধ্যে এক্সিলারেটর প্যাডেলে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছিল। এতে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছিল। এর জেরে টেসলা তিন হাজার ৮৭৮টি ট্রাক ফিরিয়ে নিয়েছিল।
এর আগ, গত ফেব্রুয়ারিতে গাড়ির প্যানেলে কোনো কোনো ওয়ার্নিং লাইটের আকার ছোট হওয়ায় আপত্তি তুলেছিলেন চালকেরা। এরপর এনএইচটিএসএ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া প্রায় ২২ লাখ টেসলা গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post