অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় মায়ের বুকের দুধ এবং সেই দুধ থেকে উৎপাদন করা পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুক্রবার (২৪ মে) ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার (২৪ মে) এফএসএসএআই জানায়, এফএসএস আইন, ২০০৬ এবং এর অধীনে প্রণীত বিধানে মাতৃদুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রি অনুমোদন করা হবে না। মায়ের বুকের দুধ ও এ থেকে উৎপাদন করা পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ সম্পর্কিত সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
শীর্ষ খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানায়, এ নির্দেশ লঙ্ঘন করা হলে এফএসএস আইন, ২০০৬ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়ম ও প্রবিধান অনুযায়ী খাদ্য ব্যবসা পরিচালকদের (এফবিও) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও মাতৃদুগ্ধ বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের লাইসেন্স না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দিয়েছে এফএসএসএআই।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে বলে, মায়ের দুধ প্রক্রিয়াকরণ বা বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন এফবিও কোনো ধরনের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন যেন না করতে পারে, সেটি তাদের নিশ্চিত করা উচিত।
এদিকে, দেশটির জাতীয় নির্দেশিকা অনুসারে বলা হয়েছে, ডোনার হিউম্যান মিল্ক (ডিএইচএম) বা মাতৃদুগ্ধ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। তবে যেসব হাসপাতালে কম্প্রিহেনসিভ ল্যাক্টেশন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (সিএলএমসি) রয়েছে, কেবল সেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া নবজাতক ও শিশুদের এ দুধ দেয়া যেতে পারে।
ভারতের সরকারি বিধানমতে, কোনো আর্থিক সুবিধা ছাড়া স্বাধীনভাবে এবং স্বেচ্ছায় দাতার মাতৃদুগ্ধ দান করা উচিত। আর দান করা এ দুধ হাসপাতালের নবজাতক এবং অন্যান্য মায়ের শিশুরা বিনামূল্যে ভোগ করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post