নাম সোমাইয়া তাবাসসুম সাবা। বয়স সবেমাত্র ২৪। পড়াশোনা করেন ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে। কিন্তু তিনি ৬০০ টাকা ভিজিটে নিয়মিত রোগী দেখতেন। এবার তিনি ধরা খেলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে নওগাঁর পত্নীতলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন।
তিনি বলেন, ডাক্তার পরিচয়ে এক নারী নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোগী দেখতো, ব্যবস্থাপত্র প্রদান ও নিজেই বিভিন্ন টেস্ট করতো। মেয়েটি একটি কোর্স করে রোগী দেখতো। এটা ঠিক না। আইন অনুযায়ী রোগী দেখতে পারেন না। ডাক্তারকে সহযোগিতা করতে পারবে।
এ ছাড়া সে নির্দিষ্ট একটা আয়ুর্বেদিক কোম্পানিকে প্রমোট করতো। সেই মেডিসিন প্রমোট করতে গিয়ে রোগী দেখে, প্রেসক্রিপশন করে। শুধু তাই নয়, বলে দেয় এই মেডিসিন ৬-৭ মাস খেতে হবে। যা একটা সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয়বহুল।
এ ছাড়া রোগীর কাছ থেকে ফি নেয়া হয় ৬০০ টাকা। আর মেয়েটি পড়াশোনা করছে সবেমাত্র ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে। সে কীভাবে মানুষের শরীরের রোগ নির্ণয় করতে পারবে, যোগ করেন পপি খাতুন।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সে। ডাক্তারি সনদপত্রের সঠিক প্রমাণাদি দেখাতেও পারেনি। সেই কারণে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post