টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এখনও বাড়েনি ওমানি রিয়ালের দাম।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এক বিবৃতিতে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণের খবর জানায়।
তবে সেই আলোকে রিয়ালের দাম এখনও বাড়েনি। ওমানি রিয়ালের বিপরীতে সর্বোচ্চ দাম দেওয়া এক্সচেঞ্জ কোম্পানিতে বৃহস্পতিবার এক রিয়ালের বিপরীতে পাওয়া গেছে ৩০৩ দশমিক ৭৫ টাকা। ১০ দিন বা এক মাস আগেও একই দাম পাওয়া যেত।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতির মাধ্যমে মার্কিন ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়ের এক্সচেঞ্জ রেট চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা পেরোলেও ওমান প্রবাসীরা এখনো তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না। আর রিয়ালের ন্যায্যমূল্য না পেলে অবৈধ চ্যানেলে বা হুন্ডির দিকে প্রবাসীদের ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয় করতে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে।
ফলে খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না। ওমানি রিয়ালের মত বাড়েনি কুয়েতি দিনারের দামও। চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতেও যেখানে টাকার বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ডলারের দাম ছিলো ১০৯-১১০ টাকা, সেসময় কুয়েত প্রবাসীরা এক দিনারের বিপরীতে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারতো ৪০০ টাকার মতো।
বর্তমানে ডলারের দাম ১১৭ টাকা হলেও দিনারের বিপরীতে পাচ্ছেন প্রায় ৩৮০ টাকা। এতে কুয়েত প্রবাসীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটির কিছুটা বেশি আর মার্চে দুইশ কোটির নিচে।
আর এপ্রিল মাসে রমজান ও ঈদ হলেও দেশে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলারের কিছুটা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post