দীর্ঘদিন ধরেই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নানা সমস্যা চলছে। ২০ বছরের ক্যাবলগুলো প্রায় অকেজো। প্রায়ই বিমানবন্দরের চারপাশে বিদ্যুৎ থাকে না। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
তার মধ্যেই সরকারি-বেসরকারি ফ্লাইট ওঠানামা করছে। সর্বশেষ গত রবিবার হঠাৎ করেই বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং আশপাশের আলোকসজ্জা নষ্ট হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট চলাচল।
মাটির নিচে ক্যাবল নষ্ট হওয়ার কারণে লাইট জ্বলে না। ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল করতে পারেনি। দ্রুত সময়ে লাইন মেরামত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
২০ মিনিটের কাজ ৪৮ ঘণ্টায়ও কেন শেষ হলো না, তার রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ক্যাবল লাইন মেরামত করতে কেন এত দেরি হচ্ছে তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে।
যেসব ক্যাবল নষ্ট হয়েছে তা ঠিক করতে বেশি সময় লাগার কথা না। বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে অ্যাভিয়েশন সেক্টরে শুরু হয় তোলপাড়। বেবিচক কর্মকর্তারা এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকের কাছে জানতে চান কী কারণে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হলো।
মাটির নিচে ক্যাবল নষ্ট হওয়ায় ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ করছে না বলে জানানো হয়। আর নাইট ল্যান্ডিং সিস্টেম কাজ না করায় রবিবার সন্ধ্যার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি করে ফ্লাইট যাত্রীসেবা দিতে পারেনি। ফলে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়ে। রাতের সব ফ্লাইট বাতিল করে এয়ারলাইনসগুলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post