অভিবাসন কমাতে আবারো শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে অস্ট্রেলিয়া।
ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয় সেটির পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে বেশকিছু কলেজকে সতর্ক করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে।
গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এটি বৃদ্ধি করা হয়। অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।
করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করে। ফলে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রে যোগ্যতার মানদণ্ড বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন দীর্ঘদিন সেখানে না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করলে দুই বছরের জেল ও নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হতে পারে।
যদিও অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে শিক্ষাখাত। তবে অধিক অভিবাসীর কারণে দেশটির সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। কারণ এরই মধ্যে বাসা ভাড়া বেড়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম রফতানি খাতের মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটির অর্থনীতিতে এটির মূল্য ছিল ৩৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ২৪ মার্কিন ডলার।
তবে রেকর্ড অভিবাসনের অধিকাংশই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। ফলে সারাদেশে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারকে চাপে ফেলেছে।
২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, নেট ইমিগ্রেশন ৬০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ তে দাঁড়িয়েছে। সরকার আশা করছে, এই নীতি আগামী দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেক করতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post