মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টায় গাজা যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তা সত্ত্বেও সোমবার রাতে রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার (৬ মে) ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে উপস্থাপিত শর্তগুলোতে তাদের মূল দাবিগুলো এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যে দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ভোগে পড়েছে রাফায় আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী। সোমবার (৬ মে) ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
সোমবার বিকেলে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার পর অনেকে রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। তবে পরক্ষণেই সেই উল্লাস ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিকে হয়ে যায়।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। একটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে।
তারা রাফার ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলটি মিশর এবং গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের একমাত্র পথ।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিরপেক্ষভাবে ওই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং মিশর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রাফাহ ক্রসিংয়ের ২০০ মিটার দূরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা রাফায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের বিশ্বাস ইসরায়েল সেখানে বড় ধরনের অভিযান চালাবে না। কারণ রাফাতে অভিযান চালানো বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post