নামাজের অনুমতি দিয়ে বাইজেন্টাইন আমলের স্থাপনা কারিয়া জাদুঘরের দরজা খুলে দিয়েছে তুরস্ক।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ২০২০ সালে জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশেষে গতকাল সোমবার (৬ মে) নামাজের জন্য স্থাপনাটির দরজা খুলে দেওয়া হয়।
বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন মতে, স্থাপনাটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো। এটি প্রথমে একটি অর্থোডক্স গির্জা ছিল। এরপর এটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
২০২০ সালে জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেন প্রেসেডেন্ট এরদোগান। সে সময় গ্রিস তার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
ইতিহাস বলছে— ১৪৫৩ সালে উসমানীয় সম্রাজ্য কনস্টান্টিনোপল জয় করলে কোরা গির্জাকে ‘কারিয়া মসজিদে’রূপান্তর করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয়দের পরাজয়ে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে গড়ে ওঠে তুরস্ক। সে সময় এটিকে ‘কারিয়া জাদুঘরে’ রূপান্তর করা হয়।
প্রায় শতাব্দীকাল পর জাদুঘরটিকে আবারও ‘কারিয়া মসজিদ’ রূপে ফিরিয়ে আনলেন এরদোগান।
২০২০ সালে জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরের আদেশ দেওয়া হয়। সে সময় এমন আদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ গ্রিস।
তখন এই আদেশকে ধর্মীয় উস্কানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল দেশটি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি এরদোগান। এদিকে, ২০২০ সালে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেছিল তুরস্ক।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post