অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিনটি পর্যায়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিন পর্যায়ের প্রতিটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে। তবে এরপরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কারণ ইসরায়েল বলেছে, এই প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি এবং চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি রাফাহতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাফাহতে আকাশ ও স্থল থেকে আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।
জানা গেছে, ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য রাফাহ আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সেখানে আশ্রয় নেয়া বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ছাড়া হামলা করা উচিত নয়, তবে সেই ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো উপস্থাপন করা হয়নি।
হামাস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়াহ কাতারি এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলের দাবি পূরণ হয়নি। তবে ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আলোচকদের সাথে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করতে মঙ্গলবার কায়রো যাবে।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরো বলেছে, তার (নেতানিয়াহুর) যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ বলেছেন, নেতানিয়াহু রাফাহতে বোমা হামলা করে যুদ্ধবিরতিকে বিঘ্নিত করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের চেয়ে খুবই দুর্বল এবং এতে এমন কিছু উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ইসরায়েল গ্রহণ করতে পারে না।
ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলকে চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী পক্ষ হিসেবে দেখানোর উদ্দেশ্যে এই প্রস্তাবটি একটি চালাকি বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সাথে হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করবে এবং এই পর্যায়ে এই ধরনের একটি চুক্তি ‘একেবারেই অর্জনযোগ্য’।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post