সৌদি আরবে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না প্রবাসীরা। মূলত তিনটি কারণে এ সঙ্কট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন যারা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে পাওয়া ফ্রি ভিসায় সৌদি গেছেন।
আবার যারা কাজ পাচ্ছেন তাদের বেতন এতোটাই কম যে জীবন যাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে। জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক হাজার রিয়াল বা ৩৫ হাজার টাকার নিচে কোন কর্মীকে সৌদি পাঠানো ঠিক নয়।
এই বিজ্ঞাপনে ৫০০ রিয়াল ১৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরির জন্য সৌদিতে কর্মী খোজা হচ্ছে। কিন্তু একজন কর্মীর সৌদিতে নিজে থাকা খাওয়ার জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয়।
তারপরও অনেকেই ওভারটাইম ব্যক্তিগত সহায়তা এইসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সৌদি যান। কিন্তু দিন শেষে নিজের বা পরিবারের জন্য কিছুই থাকে না।
আবার কোম্পানি ভিসায় গিয়ে কাজ না পাবার অভিযোগ রয়েছে অনেক সৌদি প্রবাসীর। অথচ যাবার জন্য খরচ হয়েছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা
বায়রা’র সেক্রেটারি জেনারেল আলী হায়দার চৌধুরী, ৪০০ বা ৬০০ রিয়ালের বেতনে লোন না পাঠানো উচিত। ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো ও ফ্রি ভিসা বন্ধ করা উচিত।
মূলত সৌদি করন নীতির কারণে ১৬ পেশায় কাজ করতে পারে না বাংলাদেশিরা। কিন্তু বিষয়টি জেনেও প্রতিদিনই কয়েকশ কর্মী যাচ্ছে সৌদিতে।
বায়রা’র জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম বলেন, কোম্পানিগুলো লোক নিয়ে তারা থার্ড পার্টির কাছে দেয়।
এখন থার্ড পার্টির সাথে তাদের চুক্তি যদি সময়মতো না করতে পারে এবং সময়মতো লোক না দিতে পারে অথবা তাদের কাছে কাজ না থাকতে পারে, এই লোকগুলো নিয়েই মূলত সমস্যা হচ্ছে।
জনশক্তি বিশেষজ্ঞ হাসান আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মীরা আগে মোবাইলের দোকানে, কাপড়ের দোকানে এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দোকানে কাজ করতে পারতো।
সেখানে কিন্তু আমাদের কর্মীরা এখন কাজ করতে পারছে না। তারা যে আশা নিয়ে সৌদি যাচ্ছে, সে আশা দূরের কথা তারা যে অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে সে অর্থ তারা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তুলতে পারবে কিনা সেটিই চিন্তার জায়গা তৈরি করেছে।
এই বছরের প্রথম দুই মাসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সর্বাধিক অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post