পূর্বাভাসে ঘোষিত সময়ের আগেই ওমানে শুরু হয়ে গেছে বৃষ্টি। রোববার রাত থেকেই দেশটির বিভিন্ন যায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া সর্বশেষ বুলেটিনে সোমবার মধ্যরাত থেকে উত্তর ও দক্ষিণ আল শারকিয়্যাহ, দক্ষিণ আল বাতিনাহ, আল দাখিলিয়াহ ও আল উস্তায় বজ্রবৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়।
এছাড়া বিরূপ আবহাওয়ার ঝুঁকিতে আছে আল হাজার পর্বতমালা, ওমানের ধোফার এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। একইসাথে মরু অঞ্চল এবং উন্মুক্ত এলাকায় ধূলিঝড়ের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এর আগে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার অর্থ্যাৎ দোসরা মে থেকে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হতে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চল থেকে যা আল উস্তা এবং ধোফার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।
এক বিবৃতিতে সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সেন্টারের কর্মকর্তারা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেবেন।
এদিকে ওমানে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে একেরপর এক মারাত্মক বন্যা ও যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। বলা হয়েছে- এ বিপর্যয় মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর সাথে সম্পর্কিত।
এছাড়া সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াও এজন্য দায়ী। বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই ওমানে ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে যা সাধারণত এল নিনোর বছরে ঘটে না।
জলবায়ু নিয়ে আলোচনার প্রায় ছয় মাস পরেও দেশগুলো এখনো নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র খুলছে। ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post