ওমানে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু। গত এপ্রিল মাসে একাধিকবার ভারী বৃষ্টি ও বন্যার ঘটনার পর আবহাওয়া নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে ওমান।
এক বিবৃতিতে সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সেন্টারের কর্মকর্তারা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজন হলেই পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেবেন।
যদিও এই মুহুর্তেই বিরূপ আবহাওয়ার ঝুঁকিতে আছে আল হাজার পর্বতমালা এবং ওমানের ধোফার, আল শারকিয়া এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলো।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তারা আল হাজারের উপরে মেঘ ঘনীভূত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেছেন ফলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এখন থেকেই শুরু হয়েছে। একইসাথে মরু অঞ্চল এবং উন্মুক্ত এলাকায় ধূলিঝড়ের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে তারা।
এদিকে, ওমানে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে একেরপর এক মারাত্মক বন্যা ও যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। বলা হয়েছে- এ বিপর্যয় মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর সাথে সম্পর্কিত।
⚠️تنبيه غزارة الأمطار المتوقعة اليوم الأحد 28 أبريل 2024م (تصاحبها رياح هابطة نشطة وتساقط حبات البرد) على أجزاء من جبال الحجر خلال فترة الظهيرة والمساء تمتد بإتجاه المناطق الساحلية لبحر عمان..والله أعلم pic.twitter.com/U9QMbsnYrE
— الأرصاد العمانية (@OmanMeteorology) April 28, 2024
ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন উদ্যোগের অধীনে ২১ জন বিজ্ঞানী ও গবেষকের একটি দল আবিষ্কার করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই ওমানে ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে যা সাধারণত এল নিনোর বছরে ঘটে না।
এছাড়া সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঝড়ের মাত্রা আরো তীব্র হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে নতুন জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলো বন্ধ করার ওপর জোর দিচ্ছে।
কিন্তু জলবায়ু নিয়ে আলোচনার প্রায় ছয় মাস পরেও দেশগুলো এখনো নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র খুলছে। ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post