দেশের প্রধান সব শ্রমবাজার থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ইউএই থেকে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৩২৭ কোটি ৭ লাখ ডলার।
একই সময়ে প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে কেবল ১৯৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার এসেছে। অর্থাৎ সৌদি আরবের সঙ্গে আমিরাত থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহের ব্যবধান ৬০ শতাংশেরও বেশি। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শীর্ষ রেমিট্যান্সের বাজার হিসেবে ইউএই তার নাম ধরে রেখেছে।
সৌদি আরবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় বিপর্যয় হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশটি থেকে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় এসেছে মাত্র ১৯৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।
অথচ গত অর্থবছরেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেকর্ড ৩৫২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আগের তিন বছরও প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল দেশটি থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ। সেই প্রবাহে বিপর্যয়ের কারণে শীর্ষস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেমে গেছে চতুর্থে। সৌদি আরব নেমেছে তৃতীয় স্থানে।
তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্থিতিশীল থাকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের নাম। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সিঙ্গাপুরসহ বড় শ্রমবাজারগুলোর রেমিট্যান্স প্রবাহ এখন বেশ শ্লথ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি আরবের রেমিট্যান্সের বাজার ক্রমেই হুন্ডির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। বৈধ পথে দেশটি থেকে অর্থ পাঠানোও কঠিন হয়ে উঠছে। বিপরীতে আইনকানুন সহজ ও উদার করে দেয়ায় ইউএই এখন বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম শীর্ষ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ইউএই। ওই বছর আমিরাত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ডলার।
এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে ২০৭ কোটি ১৮ লাখ ডলারে নেমে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসেই আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৭ কোটি ৭ লাখ ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post