একটি বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ সামনে এসেছে। যা রীতিমতো ভয়ংকর। জানা গেছে পাইলট ককপিটে উপস্থিত থেকেও একটি শিশুর হাতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেন। তারপরেই সেটি ভেঙে পড়ে। রাশিয়ার মস্কোর শেরেমেতিয়েভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এরোফ্লট ফ্লাইট ৫৯৩ হংকংয়ের কাই টাক বিমানবন্দরে যাবার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলো।
কিন্তু একটি ইন-ফ্লাইট বিপর্যয়ের জেরে বিমানটি তার গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে। বিমানে তখন ৬৩ জন যাত্রী এবং ১২ জন ফ্লাইট ক্রু সদস্য ছিলেন। এই ভয়ংকর ঘটনায় প্রত্যেকেই নিহত হন।
জানা গেছে, ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু ভিক্টোরোভিচ ড্যানিলভ ককপিটে আসা একটি শিশুর হাতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দিয়েছিলেন।
ফ্লাইটের অবশিষ্টাংশ সাইবেরিয়ান কুজনেৎস্ক আলতাউ পর্বত অঞ্চলে পাওয়া গেছে এবং অ্যারোফ্লট প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে দুর্ঘটনার সময় ককপিটে শিশুদের উপস্থিতি ছিল। পরে তারা স্বীকার করে যে ফ্লাইটের ডেকে যাত্রীদের কেউ উপস্থিতি ছিল।
রিলিফ ক্যাপ্টেন কুদ্রিনস্কির দুই সন্তান সেইসময়ে ফ্লাইটে ছিল এবং তারা তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলো।
বিমানে থাকা বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন যখন এই বিপর্যয় ঘটে। পাইলটের ১৫ বছর বয়সী ছেলে ৩০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে কন্ট্রোল স্টিকটি হাতে নিয়েছিলো, যা বিমানটিকে স্থিতিশীল এবং সোজা রাখার জন্য অটোপাইলটের কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ফ্লাইট কন্ট্রোল সেটিংস ম্যানুয়ালে পরিবর্তন করার বিষয়টি ক্রুদের মধ্যে কেউ বুঝতে পারেনি। কেউ জানতেও পারেনি একটি কিশোর ছেলের হাতে রয়েছে বিমানের নিয়ন্ত্রণ। প্লেনের ব্ল্যাক বক্সের রেকর্ডে ক্যাপ্টেনকে তার বাচ্চাদের সাথে কথা বলতে শোনা গেছে।
যেখানে তিনি বারবার নিজের পুত্রকে সাবধান করছেন, বলছেন ‘সামনে বিপদ আছে, তুমি দেখতে পাচ্ছ না?’ যখন তারা সমস্যায় পড়েছিল তখন ফার্স্ট অফিসার ইগর ভ্যাসিলিভিচ পিসকারিওভ ড্যানিলভকে ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানটির ‘পূর্ণ ক্ষমতা’ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
রেডিওটির শেষ কথায় শোনা গেছে ক্যাপ্টেন বলছেন: “এখন বের হয়ে যাও! সব স্বাভাবিক! ‘ক্যাপ্টেন এবং কো-পাইলট নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য বিমানে ঝাঁকুনি দেওয়ার কারণে একটি সতর্কীকরণ আলো তারা দেখতে পাননি। যদিও তাঁরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন বিমানটিকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করতে।
Novokuznetsk এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইট পথের আপডেটের জন্য অপেক্ষা করছিল কিন্তু এরোফ্লট ফ্লাইট ৫৯৩ বিমান থেকে তাদের কাছে আর কোনো বার্তা আসেনি। অনুমান করা হচ্ছে যে, ফ্লাইটটি ১৬০ মাইল বেগে কুজনেস্ক আলাতাউ পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয়, বোর্ডে থাকা সকলেই মারা যান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post