ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের সময় স্ট্রোক করে হাফিজুর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিহতের পরিবার। বর্তমানে মরদেহ পড়ে আছে আলবেনিয়ার মাদার তেরেসা হাসপাতালের মর্গে।
নিহত হাফিজুর রহমান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গুতগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র। সূত্রে জানা যায়, উন্নত জীবনের আশায় গত ২৯ মার্চ ওর্য়াক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের দেশ কসোভো যান হাফিজুর রহমান।
দেশটিতে কিছুদিন অবস্থান করলেও ভাষা ও পরিবেশের সাথে নিজেকে মানাতে পারেননি। তাই তিনি দেশ থেকে গ্রিসে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কারণ গ্রিসে রয়েছেন তার ভাই ও অনেক আত্মীয় স্বজন।
এরপর কসোভো থেকে আরও কয়েকজন অভিবাসীর সঙ্গে চলে যান সীমান্তবর্তী দেশ আলবেনিয়ায়। আলবেনিয়ায় গিয়ে দুই দিন হোটেলে রাত যাপনের পর গত ২০ এপ্রিল দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন হাফিজুরসহ পাঁচ বাংলাদেশি অভিবাসী।
গ্রিস প্রবেশের সময় সীমান্তের পাহাড়ে হিট স্ট্রোক করে মারা যান হাফিজুর। এ সময় দালাল তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে বাকি অভিবাসীদের নিয়ে গ্রিসে চলে যায়।
কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে পাঠায়। এরপর গত ২৩ এপ্রিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে নিহতের পরিবার।
নিহতের ভাই আব্দুর রহমান জানান, অনেক কষ্ট করে ছোট ভাইকে ইউরোপের দেশ কসভোতে পাঠিয়েছিলাম।
কিন্তু সে কসোভো থেকে গ্রিসে আসার পথে মারা গেছে। খবরটি আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে আলবেনিয়া হাসপাতালে যোগাযোগ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়।
এ ব্যাপারে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করেছে। আমরা আলবেনিয়ায় যোগাযোগ করছি। লাশ দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post