শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ, সবজি বাগান ও বাজারজাতকরণ, শূকর পালনের মতো কাজে খণ্ডকালীন কর্মী নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে এসব খাতে কর্মী যাচ্ছে এখন। গত বছর দুই হাজারের বেশি কর্মী পাঠানোর চাহিদা পেয়েছিল বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি কেএম ইন্টারন্যাশনাল।
তারা আগ্রহী কর্মীদের কাছ থেকে ৭০০ কর্মীর পাসপোর্ট জমা নেয়। এরপর দুই দফায় ৮০ জন কর্মীর চাহিদাপত্রের বৈধতা যাচাইয়ের পর তা সত্যায়ন করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখা। এর ভিত্তিতে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তবে কোরিয়ার দূতাবাস কোনো কর্মীর ভিসা দেয়নি। কারণ, কর্মীর নিয়োগপত্র ছিল ৯০ দিনের জন্য। এ ক্ষেত্রে তাদের সি-৪-৫ ভিসার প্রয়োজন হয়। এটি মাত্র তিন মাসের জন্য, যা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউকেই দিচ্ছে না কোরিয়া।
খণ্ডকালীন কর্মীর জন্য ই-৮ ভিসা অনুমোদন করে কোরিয়া। এতে আট মাস কাজ করার সুযোগ পান একজন কর্মী। কিন্তু এ ভিসার জন্য দেশটির স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে।
কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করার বিষয়ে কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মিকন তংচঙ্গ্যা বলেন, তাঁরা সরেজমিন নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। সব কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদাপত্রের সত্যায়ন করেছেন। ভিসার বিষয়টি সত্যায়ন করেননি।
কর্মী পাঠাতে হলে ই-৮ ভিসা লাগবে। এর জন্য কোরিয়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে। এখন মন্ত্রণালয় তা নিয়ে কাজ করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post