করোনা মহামারি প্রতিরোধে খুব দ্রুতই করোনা ভ্যাকসিন হাতে পেতে যাচ্ছে ওমান। ওমানের জাতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ওমানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রবীণ কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই কর্মকর্তা বলেন,‘‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ প্রথম পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছাতে পারে ওমানে।” এরই মধ্যে ফাইজারের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক এমএইচআরএ গণ টিকা দেওয়ার জন্য এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে ৪০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে। যারমধ্যে ১০ মিলিয়ন ডোজ খুব শীঘ্রই যুক্তরাজ্যকে দিবে ফাইজার।
টাইমস অফ ওমানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, “দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে- ইএমএ (ইউরোপীয় মেডিকেল এজেন্সি) এবং এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)।
ইএমএ এরই মধ্যে ফাইজারের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দিয়েছে। ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে আবিষ্কৃত সকল করোনা ভ্যাকসিন মূল্যায়ন করছে। আমরা সেই ভ্যাকসিন আমাদের দেশের জন্য ব্যবহার করবো যেটি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির অনুমোদন রয়েছে।”
ওমানের ভ্যাকসিনের অনুমোদন ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাদি ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, “যেহেতু ফাইজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত। তাই আমাদের অনুমোদনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ’র অনুমোদন প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ ওমানে প্রবাসীদের সাথে নতুন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় সভা
আমরা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি। ভ্যাকসিন ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই যে সংস্থাটি এটি তৈরি করেছে, তাকে তার নিজের দেশে অনুমোদন নিতে হবে। যেহেতু এটি ইতিমধ্যে ইএমএ থেকে অনুমোদন পেয়েছে, তাই আমি আশা করি ফাইজার এই সপ্তাহের মধ্যে এফডিএ’র অনুমোদন পাবে।
যদি এফডিএ অনুমোদন দেয় তাহলে এটি ওমানে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার শুরু করা হবে। সকল অনুমোদনের পরেই ওমান ভ্যাকসিনটি নিজের দেশে আমদানি করার ব্যবস্থা করবে।”
আরো পড়ুনঃ অবশেষে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাড়ালো সৌদি ও কাতার
তিনি আরো বলেন,“আমরা এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা, রোগীদের কয়টি ডোজ প্রয়োজন, ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি ইত্যাদি খুব ভালো করে মূল্যায়ন করছি। কারণ আমরা আমাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনেক সর্তক।
এছাড়াও আমরা আরো বিবেচনা করেছি যে, কোন সংস্থাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের ভ্যাকসিন দিতে পারবে। তবে আশা করা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ফাইজারের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পেতে পারে ওমান।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post