প্রায় ২০০ কোটি রুপি সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন ভারতের গুজরাটের এক দম্পতি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৬৩ কোটি টাকারও বেশি। সন্ন্যাস জীবন বেছে নিতেই সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন ওই দম্পতি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বলা হয়েছে, ২২ এপ্রিল দীক্ষা গ্রহণের পর পারিবারিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করবেন জৈন দম্পতি ভবেশ ভান্ডারি ও তার স্ত্রী। পরিত্রাণের আশায় গুজরাটের হিম্মতনগর থেকে বেরিয়ে পড়বেন তারা।
এরপর থেকে আর কোনো বৈষয়িক জিনিস স্পর্শ করবেন না। বাকি জীবন খালি পায়ে তারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে বেড়াবেন এবং ভিক্ষা করে জীবন চালাবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের অর্জিত সব সম্পদ (প্রায় ২০০ কোটি রুপি) বিলিয়ে দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ছেলে-মেয়ের অনুপ্রেরণাতেই সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন ভবেশ ও তার স্ত্রী। ২০২২ সালে তাদের ১৯ বছরের কন্যা ও ১৬ বছরের পুত্র সন্ন্যাস জীবন বেছে নেন।
ভান্ডারি পরিবারের সবার সন্যাস জীবন বেছে নেওয়ার ঘটনা পুরো রাজ্যজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ভান্ডারি দম্পতি এবং আরও ৩৫ জন চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন। সে সময় তারা তাদের সব সম্পত্তি দান করেন। শোভাযাত্রার একাধিক ভিডিওতে ওই দম্পতিকে রাজকীয় পোশাকে একটি রথের ওপরে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর গুজরাটে আরেক কোটিপতি হীরা ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে তাদের ছেলেও মাত্র ১২ বছর বয়সে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেছিল।
এছাড়া ২০১৭ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশে সুমিত ও অনামিকা রাঠোর নামে আরেক দম্পতি ১০০ কোটি রুপির সম্পদ দান করে এবং তাদের তিন বছর বয়সী কন্যাকে দাদা-দাদির কাছে রেখে ঘর ছেড়েছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post