২ দিন পার হলেও উন্নতি হয়নি ওমানের বন্যা পরিস্থিতির। রবি ও সোমবারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মঙ্গলবারও দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে শিলাবৃষ্টিসহ ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের সড়ক, দোকানপাট ও বাসাবাড়ি। এখনো পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় মুসান্দাম, আল বুরাইমি, আল ধাহিরাহ, উত্তর আল বাতিনাহ ও আল দাখিলিয়ায় কর্মীদের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের অপর এক নির্দেশনায় অন্যান্য অঞ্চলেও অফিস কার্যক্রম সুবিধাজনক এবং প্রয়োজনে অনলাইনে সম্পন্ন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। কারণ রোববার ও সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বেশি হবার ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ওমানের স্কুল শিক্ষার্থীরা। ক্লাসের সময় স্কুল বিল্ডিংয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে স্কুল ছাড়তে গিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন, কেউ কেউ ভেসে গেছেন গাড়ি নিয়ে।
আল শারকিয়্যার মুধাইবির স্কুলগুলো হয়ে পড়েছিলো একেকটা মৃত্যুকূপ। বন্যায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন স্কুল শিক্ষার্থী ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া স্কুল থেকে অন্তত ২ হাজার পানিবন্দী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রেস্কিউ টিমের সদস্যরা।
পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। হেলিকপ্টার দিয়েও চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। ওয়াদিতে ভেসে যাওয়া গাড়ি থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে কৌশলী অপারেশন দেখা গেছে দিনভর।
যদিও তীব্র পানির স্রোত এবং বন্যার পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যা বা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলমান এই বৈরী আবহাওয়া স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post