সিরিয়ার দামেস্কে নিজের কনস্যুলেটে হামলার জেরে ইসরায়েলের মাটিতে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। রবিবার রাতের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের জন্য দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেও নীরবে পিছু টান দিচ্ছে আমেরিকা।
ইরানি হামলার পর নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি নেতানিয়াহুকে সাফ জানিয়ে দেন, “ইরানে সরাসরি কোনও হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পাল্টা হামলায় সমর্থনও দেবে না মার্কিন কর্তৃপক্ষ।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তেজনা চায় না। তবে ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর ভাষায় ইরানি হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেন।
তাতে তিনি বলেন, “আর উত্তেজনা চায় না আমেরিকা। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং ওই অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের রক্ষায় ‘সমর্থন অব্যাহত রাখবে’।
তিনি আরও বলেন, “আমি সামনের ঘণ্টা এবং দিনগুলোকে আঞ্চলিক এবং সারা বিশ্বের মিত্র ও অংশীদারদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ব্লিংকেনের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনিও বলেছেন, ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে আমেরিকা। তবে দেশটি ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা আর বাড়াতে চাইছে না।
বাইডেন প্রশাসন এই বার্তার মাধ্যমে স্পষ্টতই নেতানিয়াহুকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এর আগেও বাইডেন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছেন। এখন, ইরানের হামলার পরে, তিনি মৌখিকভাবে অনেক বেশি সমর্থন দিচ্ছেন, কিন্তু পর্দার আড়ালে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বাইডেন নেতানিয়াহুকে সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, “অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।”
এ সময় বাইডেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন কূটনীতি ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন। জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণে সরাসরি জড়িত হবে না আমেরিকা। এভাবে বাইডেন প্রশাসন নেতানিয়াহু পিছনে ঠেলে দিচ্ছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post