মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের নিশানায় রয়েছে বলে আমেরিকাকে হুমকি দিলো ইরান।
অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়া দেশটিকে সতর্ক বার্তা পাঠায় পৃথিবীর একমাত্র শিয়াধর্ম রাষ্ট্রটি।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে সুইজারল্যান্ডের মাধ্যমে আমেরিকাকে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়।
বার্তায় দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো আমাদের নিশানায় রয়েছে। ইরানের হামলার জেরে ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করা হলে সাথে সাথেই ঘাঁটিগুলোতে হামলা শুরু করবে ইরান।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। এতে শিয়া রাষ্ট্রটির ২ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সহ ৭ সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়। এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক মহলে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাত থেকে ইসরাইলে হামলা শুরু করার দাবী করে রাষ্ট্রটি।
দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান বিশেষত ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত করে নেগেভ বিমান ঘাঁটি, যেখান থেকে দামেস্কে বিমান হামলা পরিচালনা করেছিলো ইসরাইল।
ইসরাইল মিলিটারীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইরানের অধিকাংশ মিসাইলই রুখে দিয়েছে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছু কিছু মিসাইল সরাসরি ইসরাইলে এসে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। বিশেষত নেগেভ বিমান ঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও জানানো হয় যে, তারা এর আগে কখনো একত্রে এত পরিমাণ মিসাইল হামলার মুখোমুখি হয়নি। এক দফায় ২০০ এর অধিক মিসাইল হামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানায় অবৈধ রাষ্ট্রটির সামরিক মুখপাত্র। মাত্রাতিরিক্ত মিসাইল হামলার জেরে ইসরাইলজুড়ে ৭২০ বার মিসাইল বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ইসরাইল মিলিটারীর ভাষ্যমতে, ইসরাইল অভিমুখে এখন পর্যন্ত ১০০ এর অধিক ব্যালেস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইরান। ক্রুজ মিসাইল ও সুসাইড ড্রোনের সংখ্যা ছিলো আরো বেশি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post