আমেরিকা যাওয়ার ইচ্ছা কার না আছে। তবে সবাই ইচ্ছা করলে আমেরিকা যেতে পারে না। কারণ, আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য আলাদা কিছু যোগ্যতা দরকার হয়। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানেন না, আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি কি।
কোনো বাংলাদেশি ইচ্ছা করলে আমেরিকায় ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবে না। কারণ, আমেরিকার ভিসার জন্য আপনার আলাদা কিছু যোগ্যতার দরকার হবে। নিচে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগবে তা দেখে নেয়া যাক।
১. ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ, ইংরেজিতে কথোপকথন জানতে হবে।
২. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম। আপনি কোন ধরনের ভিসা করতে চাচ্ছেন সেটার উপর একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হয়। অবশ্যই ফর্মটি নির্ভুল হতে হবে।
৩. একটি বৈধ মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট। পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকতে হবে।
৪. পাসপোর্ট এর ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা বাধ্যতামূলক।
৫. পাসপোর্ট সাইজের বেশ কয়েক কপি ছবি প্রয়োজন হবে।
৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
৭. মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে রাখবেন।
৮. আপনার একটি বৈধ ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
৯. এছাড়াও আপনি বর্তমানে যে কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছে সেখানকার অফিস প্রধানের কাছ থেকে একটি চিঠি সংগ্রহ করতে হবে।
মূলত এই কয়েকটি কাগজপত্র ও যোগ্যতা থাকলে আপনি আমেরিকান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আমেরিকা ভিসার জন্য আরেকটি জিনিস প্রয়োজন সেটা হলো আপনার ভ্রমণ হিস্টোরি। অর্থাৎ, আপনাকে ন্যূনতম ৫-৬ টি দেশ ভ্রমণ করতে হবে। তারপর আপনি আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আমেরিকা ভিসার খরচ: আমেরিকান ভিসা আবেদন করার জন্য ১৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার হাজার টাকা পর্যন্ত লেগে থাকে। ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে টাকার ব্যবধানটা গড়ে ওঠে। তবে বলা বাহুল্য যে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকা ভিসা খরচ একটু বেশি হলেও এটি দ্রুত এবং ঝামেলা মুক্ত পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে নূন্যতম ৬ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগবে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর থেকেও কম বা বেশি টাকা লাগতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post