গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাত ত্রাণকর্মীকে ‘পরিকল্পিতভাবে একটার পর একটা গাড়ি টার্গেট করে’ হত্যা করা হয়েছিল।
বুধবার সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর প্রতিষ্ঠাতা সেলিব্রিটি শেফ জোসে আন্দ্রেস এই কথা বলেছেন।
ভিডিও কলে কথা বলার সময় আন্দ্রেস বলেছিলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাতব্য কর্মীদের গতিবিধি জানত। একটা গাড়িবহর যেখানে ভালোভাবেই বলা আছে যে, এগুলো মানবিক ত্রাণের গাড়ি, যার উপরে ছাদে একটা ‘রঙিন লোগো’ স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়।
তাতে এটা খুব পরিষ্কার ছিল, আমরা কারা এবং আমরা কী করি। তাই এ ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মানতে নারাজ তিনি। এ বিষয়ে আন্দ্রেস বলেন, এটি মোটেই দুর্ভাগ্যজনক কোনো ঘটনা ছিল না যে তারা বলতে পারে, উফ! আমরা ভুল জায়গায় বোমা ফেলে দিয়েছি।
আন্দ্রেস বলেন, তারা একটি সংঘাতমুক্ত ঘোষিত এলাকায় আমাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা এটা জানত, আমাদের দলগুলো ঐ রাস্তায় তিনটি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে গাড়িগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে।
এই ঘটনার মার্কিন সরকার এবং নিহত প্রতিটি ত্রাণকর্মীর দেশকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সমুদ্রপথে গাজায় আসা ১০০ টন খাদ্যের তদারকি করার সময় ত্রাণকর্মীদের গাড়ি বহরে হামলা হলে তারা নিহত হন। এই ঘটনায় ‘গভীরভাবে দুঃখ’ প্রকাশ করেছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে এই হামলা ইচ্ছাকৃত নয়— ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দ্রেস। তিনি বলেন, ত্রাণবাহী গাড়ির উপর তিনবারের বেশি হামলা করা হয়েছিল।
ভিডিও সাক্ষাৎকারের সময় আত্মপক্ষ সমর্থনের ইসরায়েলে দেওয়া এমন ব্যাখ্যা আন্দ্রেস গ্রহণ করেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে, আমি স্পষ্টতই ‘না’ বলব।
এমনকি আমরা যদি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ নাও করে থাকি, তবুও কোনো গণতান্ত্রিক দেশ এবং কোনো সামরিক বাহিনীই বেসামরিক ও মানবিক কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করতে পারে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post