প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের আওতায় প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভাতার আবেদন শুরু হয়েছে। ৫ বছর মেয়াদে এ ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে ১৫ মে পর্যন্ত।
গত ৩১ মার্চ থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মনোনীত সন্তানদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভাতা কার্যকর হবে। একজন প্রতিবন্ধী সন্তান প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে এ ভাতা পাবে।
কোন প্রবাসীর একের অধিক প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এ বিষয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
মূলত প্রতিবন্ধী সন্তানের পক্ষে তাদের পিতা/মাতা অথবা অভিভাবক এ আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ৯ তলা (ডেসপাস শাখা), প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা ঠিকানায় সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে।
বিনামূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রধান কার্যালয় অথবা সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েলফেয়ার সেন্টার, চট্টগ্রাম কিংবা চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে।
আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র সম্বলিত পাসপোর্ট’র ফটোকপি বা স্মার্টকার্ড অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড-এর মেম্বারশিপ গ্রহণের কপি, প্রবাসী মৃত্যুবরণকারী কর্মীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত এনওসি, প্রতিবন্ধীর সন্তানের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
ভাতা গ্রহণকারী পিতা-মাতা বা অভিভাবকের (ব্যাংক রাউটিং নাম্বারসহ) ব্যাংক স্টেটমেন্ট। তাছাড়া ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’ প্রাপ্তদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েলফেয়ার সেন্টার, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘আবেদনের পর বাছাইকৃত প্রবাসী কর্মীর প্রতিজন প্রতিবন্ধী সন্তান মাসিক এক হাজার টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এ ভাতা টানা পাঁচ বছর পাবে। গত ৩১ মার্চ থেকে নতুন করে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ১৫ মে পর্যন্ত।’
আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একজন প্রবাসীর বিএমইটি’র বহির্গমন ছাড়পত্র অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ থাকতে হবে।
প্রবাসে মৃত প্রবাসীর ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্র্তৃক ইস্যুকৃত এনওসিতে বৈধতার কথা উল্লেখ থাকতে হবে অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত প্রবাসীর পরিবার হতে হবে। একজন প্রবাসীর কর্মীর সর্বোচ্চ ২ জন প্রতিবন্ধী সন্তানকে এ ভাতা প্রদান করা হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েলফেয়ার সেন্টার, চট্টগ্রাম কিংবা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ঢাকার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post