আব্দুল হালিম জীবন নামে এক প্রবাসীকে হত্যার দায়ে তারই বাবাকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, তাঁর আরেক প্রবাসী ভাই ও পরিবারের কয়েকজন সদস্যও এ পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। সোমবার শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
তবে অভিযুক্ত বাবা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ সুপারের ভাষ্য, এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জীবনের বাবা সাইদুর রহমান সুরুজ এবং চরপক্ষীমারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ।
প্রায় ২৫ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দু’বছর আগে জীবন দেশে ফেরেন, এরপর প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধ চরম আকার নিলে বাবা চারটি মামলা করেন ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলে এবং তাঁর স্ত্রীও বাবার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
একটি মামলায় বাবা দেড় মাস কারাভোগ করে এক সপ্তাহ আগে জামিনে বের হয়। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসী ছেলের বন্ধু শাহিনকে দিয়ে জীবনকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রূপাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে।
এভাবেই প্রবাসীকে কৌশলে একটি চরের ঘরে এনে আটক রেখে নির্যাতন শুরু হয়। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে সাজানো হয় অপহরণের নাটক। এরই এক পর্যায়ে জীবনকে হত্যা করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post