তুরস্কে ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ থেকে জনবল নেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন বাবা-ছেলে।
সম্প্রতি তাদের গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, কয়েকটি ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে দেড় হাজার ভুক্তভোগীর কাছ থেকে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামরুল হাসান ও তার ছেলে ফাহাদ হাসান।
ডিবি জানায়, তুরস্কে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবে এমন তথ্য ছড়ায় এক ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সি। যোগাযোগ করে কয়েক ধাপে টাকা দেন বগুড়ার এক ব্যক্তি। তারপর আর কথা রাখেনি সেই এজেন্সি।
ওই ব্যক্তির মতো দেড় হাজার মানুষ পা দেয় এ ফাঁদে। তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে। বিশ্বাস অর্জনে দেয়া হয় অফার লেটারও। মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়।
এরপর তালবাহানা শুরু করেন প্রতারকরা। তারা জানান, তুরস্কে না, পাঠানো হবে সার্বিয়ায়। সেটিও প্রতারক চক্রের আরেকটি ফাঁদ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একটি ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কামরুল হাসান ও তার ছেলে ফাহাদ হাসানকে।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রতারণাই কামরুল হাসানের প্রধান পেশা। যার মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post