অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ওই এলাকা থেকে ট্যাঙ্ক ও সামরিক যানবাহন সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হাসপাতালে বেশকিছু মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা হাসপাতাল এলাকা থেকে ট্যাঙ্ক এবং যানবাহন বের হয়ে যেতে দেখেছেন। খবর এএফপি’র।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) তাৎক্ষণিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সেনাবাহিনীর ১৮ মার্চের অপারেশনকে ‘নির্ভূল’ হিসেবে দাবি করে আইডিএফ জানায়, হামাস যোদ্ধাদের গোপন আস্তানা টার্গেট করে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এর আগে, তারা দাবি করেছিল আল-শিফা এবং এর আশেপাশে লড়াইয়ে কয়েকশ’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এদিকে, হামাস আল-শিফা এবং অন্যান্য হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশেপাশে কয়েক ডজন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু পচে গেলে গছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ‘গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার পর এবং এটিকে সম্পূর্ণরুপে পরিষেবার বাইরে রাখার পর আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ভবনের এবং এর চারপাশের ভবনগুলোর ভিতরে ধ্বংসের মাত্রা ভয়াবহ বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ঘটনাস্থলে থেকে এএফপি’র এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, কমপ্লেক্সের ভিতরের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু এলাকা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একজন চিকিৎসক এএফপি’কে জানান, ২০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কিছু মৃতদেহ ইসরাইলি যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার সময় পিষে ফেলা হয়েছে। গাজার ৯ হাজার রোগীর জরুরি স্থানান্তর প্রয়োজনগাজার ৯ হাজার রোগীর জরুরি স্থানান্তর প্রয়োজন
এদিকে, গাজার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইলি অভিযানে অন্তত ২১ রোগী মারা গেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post