মালয়েশিয়ায় চাহিদার চেয়ে বেশি শ্রমিক যাওয়ায় অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ পাচ্ছে না। এ ছাড়া নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক প্রবাসী।
দুই দেশের সিন্ডিকেট অতিরিক্ত কোটা অনুমোদন করায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ দূতাবাস। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন অভিবাসন বিশ্লেষকেরা।
সৌদি আরবের পর মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার। ১২ লাখের বেশি কর্মী রয়েছে সেখানে। কিন্তু নানা অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছিল মালয়েশিয়া।
তবে, ২০২২ সালে ১৫টি দেশের জন্য শ্রমবাজার আবারও খুলে দেয় দেশটি। এরপর থেকে চার লাখের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় গেছেন। শুধু ২০২৩ সালেই গিয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজারের বেশি প্রবাসী।
কিন্তু মালয়েশিয়ায় অনেক বাংলাদেশি কাজ পাচ্ছেন না বরং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি সেদেশে এক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক মামলাও করেছেন। কিন্তু তারপরও দেশে ফিরতে পারছেন না তারা। অভিযোগ রয়েছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসও তাদের কোনো সহায়তা করছে না।
এদিকে, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারপারসন শাকিরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় এক হাজার বাংলাদেশি নিয়োগকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি।
শাকিরুল ইসলাম আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে কোথাও হয়তো ৫ জনের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও কোনো কোনো কোম্পানি ৫০ জনের অনুমোদন দিয়ে ৫০ জনকে তারা সে দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর তারা আর কাজ দিতে পারছে না।
কাজের তুলনায় বেশি কোটা অনুমোদন দেওয়ায় অনেক শ্রমিককে ভুগতে হচ্ছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও ইতিবাচক সাড়া মিলছে না। সিন্ডিকেট ব্যবসার কারণেই এই সমস্যাটা হচ্ছে।
এদিকে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, অতিরিক্ত কোটা অনুমোদনের প্রবণতাটি সম্প্রতি বেড়েছে। কিছু সিন্ডিকেট আছে, যারা কোটার ব্যবসা করে।
প্রবাসীদের দুর্দশাকে উপেক্ষা করে তারা নিজেদের আর্থিক ও বৈষয়িক ব্যাপারকেই বড় করে দেখছে। আবার মালয়েশিয়া ঘোষণা দিয়েছে এ মাসের পর নতুন করে কোনো চাহিদাপত্র ইস্যু করা হবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post