ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেছে দেশটির একটি আদালত। হাইকোর্ট শুক্রবার মাদ্রাসা ও ইসলামিক স্কুলগুলি পরিচালনাকারী ২০০৪ সালের একটি আইন বাতিল করে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রচলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে স্থানান্তরিত করার আদেশ দিয়েছে।
সমালোচকরা এটিকে এমন এক সময়ে মুসলমানদের আরও কোনঠাসা করার একটি পদক্ষেপে হিসেবে অভিহিত করেছেন, যখন ভারত আগামী মাসে শুরু হওয়া সাধারণ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, এবং প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। ভারত গত বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঘৃণাত্মক বক্তব্যগুলির শীর্ষে ছিল, এমন একটি সময়কাল যা দেশটিতে চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং ভোটের পর্যায়গুলির সাথে মিলে যায়।
ভারতীয় আদালত বলেছে, ইসলামিক স্কুল সংক্রান্ত আইন সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করেছে। তবে, উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতেখার আহমেদ জাভেদ বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ২৫ হাজার ইসলামিক স্কুলের ২৭ লাখ শিক্ষার্থী এবং প্রায় ১০ হাজার শিক্ষককে বিচ্যুত করবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া হেট ল্যাব (আইএইচএল) দ্বারা এই সপ্তাহে থেকে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণামূলক বক্তব্যের ঘটনা অবলোকন করেছে, এই ঘটনাগুলির একটি গরিষ্ঠ অংশ ঘটেছে উগ্রপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি দ্বারা শাসিত রাজ্যগুলিতে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post