ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রবাসী আফসার মোল্লার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওবায়দুর মোল্যা (২৮) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী গ্রামের ওয়াহেদ মোল্যার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে বোয়ালমারীর পশ্চিম ভাটদী গ্রামের মৃত কাদের মোল্যার ছেলে আফসার মোল্যার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মধুখালী উপজেলার গন্ধখালী গ্রামের জলিল মুন্সীর মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ ও ৮ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
জীবিকার তাগিদে মনিরার স্বামী আফসার মোল্যা সৌদি আরব চলে যান। এই সুযোগে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী ওবায়দুরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর মনিরা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন ওবায়দুরকে।
তবে মনিরাকে বিয়ে না করে তাকে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে মনিরাকে তার স্বামী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর গম ক্ষেতের মধ্যে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় খুনি। ঘটনার চারদিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে প্রথমে একটি নিখোঁজ জিডি ও লাশ উদ্ধারের পরে ওবায়দুরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমালী থানার এসআই আমিনুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ ওবায়দুরকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, ওবায়দুর মোল্যা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মনিরা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। অবশ্য এরপর তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন কারাগার থেকে। রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. সানোয়ার হোসেন রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রোববার এ রায় দেন আদালত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post