উটকে মরুভূমির জাহাজ নামে ডাকা হয়। মরুভূমিতে দিনের পর দিন পানি না খেয়ে কাটাতে পারে উট এবং পা চিকন হওয়া সত্ত্বেও বহন করতে পারে ভারী জিনিসপত্র। তবে উটের এমন একটি রোগ আছে যেই রোগ হলে উটকে খেতে হয় জীবন্ত বিষধর সাপ।
উটের অদ্ভুত এ রোগের নাম হলো হায়াম, অর্থ সাপকে জীবিত গিলে ফেলা। এই রোগ হলে উট একদম খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। এ রোগ হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উট শুধু সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে।
বিচিত্র ও রহস্যময় এই রোগটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেও ব্যাখ্যা বের করতে পারেনি। তবে এ রোগের বিষয়ে অনেকে না জেনেই উটের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন করে থাকে।
একমাত্র ওষুধ হল জীবিত সাপকে গিলে ফেলা, তাহলেই মিলবে সুস্থতা। তবে সেটা হতে হবে কিং কোবরা অথবা ভয়ংকর পাইথনের মতো বিষধর সাপ। অনেক সময় উট নিজ থেকেই সাপ খেয়ে ফেলে।
সাপ গিলে ফেলার পরেই উটের তৃষ্ণা বাড়তে থাকে এবং আট ঘণ্টা এ অবস্থায় থাকার পর সাপের বিষের কারণে উটের চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য উটের চোখের এই পানি খুবই উপকারী।
তবে এই পানি এতো মূল্যবান যে প্রত্যেক উটের মালিক এ পানিকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করেন। প্রাচীনকালে ছোট চামড়ার থলেতে সংরক্ষণ করে রাখা হতো উটের চোখের পানি। কেননা এ পানি অন্য পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আরবিতে উটের চোখের পানিকে বলা হয় ‘তিরয়াক’। ‘তিরয়াক’ এমন এক ওষুধ যা যে কোনো প্রাণীর বিষকে নষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়। এটি মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাপ, বিচ্ছুর বিষ থেকে বাঁচতে এটি উপশম হিসেবে কাজ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post