সোনিয়া আক্তার সুইটিরসঙ্গে পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এনামুল হকের। এরপর ইরাক প্রবাসী শরিফুলের সঙ্গে মোবাইলে প্রেম হয় সোনিয়ার। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়।
বিষয়টি মেনে নিতে না পারেনি প্রেমিক এনামুল। সোনিয়াকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এনামুল। পরে মরদেহ খোলা বারান্দার ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান প্রেমিক এনামুল।
ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার পূর্বধলায়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানান পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এ ঘটনায় পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত সুইটির বাবা আব্দুস সোবান। ঘটনার ৫ দিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামি এনামুল হক নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের বনপাড়া মালবাড়ী মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে।
জানা যায়, এনামুল হকের সঙ্গে সোনিয়া আক্তার সুইটির পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় ইরাক প্রবাসী শরিফুলের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সোনিয়ার। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি এনামুল হক মেনে নিতে না পারেনি।
গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনিয়া আক্তার সুইটিকে মোবাইলে রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোণে ডেকে নেয়। সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সোনিয়া আক্তার সুইটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এনামুল। পরে মরদেহ আবুল কাশেমের বসতঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান এনামুল।
পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এ হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী মো. এনামুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post