করোনার কারণে ওমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া মসজিদভিত্তিক ইফতার আয়োজন এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাই এবছরও দিনভর রোজা রেখে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর মসজিদে ইফতার করতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। দেশটির বড় বড় মসজিদগুলোয় ইফতার বন্ধ থাকায় যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রবাসীরা। যদিও তুলনামূলক ছোট মসজিদগুলোয় ইফতার আয়োজন স্বাভাবিক রয়েছে।
করোনা মহামারীর আগে শহরের মসজিদগুলোতে হাজার হাজার রোজাদারের ইফতারের ব্যবস্থা থাকতো। তবে করোনার পর মসজিদভিত্তিক সেই ইফতার ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হয়নি। কিছু কিছু মসজিদে নামমাত্র পানি, খেজুর এবং সাদামাটা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া ঐতিহ্যবাহী এই ইফতার বন্ধের ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোন সিদ্ধান্তও জানানো হয়নি, তবুও আগের মত ইফতার আয়োজন না হওয়ায় ভীষণ হতাশ প্রবাসী রোজাদাররা।
প্রবাসীরা জানান, আগে কাজ শেষে আশেপাশের মসজিদে এসে তারা ইফতার করতেন। এতে একদিকে যেমন ইফতারে আলাদা আমেজ পাওয়া যেত, সাথে অর্থও সাশ্রয়ী হত। অনেক প্রবাসী রমজানজুড়ে মসজিদের ইফতার এবং সাহরি খেয়ে গোটা মাস অর্থ সাশ্রয় করতেন। তবে সেই সুযোগ এখন আর পাওয়া যাচ্ছেনা।
শ্রমিকরা বলছেন, তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ করেন না। বাইরে প্রায়শই ছয় থেকে সাত ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এজন্য সময়মতো রুমে ফিরে যাওয়া এবং প্রস্তুতি নিয়ে রান্না করা অসম্ভব। তাই দ্রুতই মসজিদগুলোতে আগের মত ইফতার ঐতিহ্য চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post