সৌদি আরবের মদিনায় বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স বিশ্বের সকল ভাষায় পবিত্র কোরআন ছাপানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই বিশ্বের ৭৪টি ভাষায় কোরআনে অনুবাদ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া খুব সহজেই যেন মানুষ ইন্টারনেটে কোরআন পড়তে পারেন, সেজন্য ডিজিটাল মাধ্যমেও কোরআন প্রকাশ করা হচ্ছে।
সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা শনিবার মদিনায় অবস্থিত বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এ সময় বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্সের কার্যক্রম প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে কোরআন মুদ্রণ প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা।
বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের ৭৪টি ভাষায় কোরআনের অনুবাদ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বের সকল ভাষায় পবিত্র কোরআন ছাপানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে অডিও এবং ডিজিটাল মাধ্যমেও কোরআন প্রকাশ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ডিজিটাল মাধ্যমে ১২টি ভাষার কোরআন প্রকাশ করা হয়েছে।
বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সকল দেশের মুসলমানের কাছে বিনামূল্যে কোরআন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৯৮৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে পরবর্তীতে শুধু কোরআন মুদ্রণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি প্রতিষ্ঠানটি। নির্ভুলভাবে কোরআন মুদ্রণ, কোরআন গবেষণা, কোরআনের ক্যালিগ্রাফি, ডিজিটাল মাধ্যমে কোরআন, মহানবির জীবনী প্রকাশসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে তারা।
১৯৮৪ সালে বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পর্যন্ত ৩৫ কোটির বেশি কোরআনের কপি ছেপেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটির দুই কোটি কোরআন ছাপানোর সক্ষমতা রয়েছে।
মদিনায় যেসব দর্শনার্থী আসেন, তাদের অনেকেই বাদশা ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন। দেখতে পারেন কোরআন মুদ্রণ প্রক্রিয়া। এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত কোরআনের কপিও পরিদর্শন করতে পারেন অতিথিরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post