করোনা মহামারির মাঝেও চলতি বছর প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (রেমিট্যান্স) প্রবাহের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রো মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর করোনার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশের রেমিট্যান্স আরো বাড়বে। যার মধ্যে বাংলাদেশের বাড়বে আট শতাংশ। মূলত ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান মহামারি করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বাড়বে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসবে ২০ বিলিয়ন ডলার। ফলে পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থাকছে অষ্টম স্থানে।
আরো পড়ুনঃ ওমানের রহস্যময় নগরী সাদ্দাতের বেহেস্ত
রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয়তে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার) আর তৃতীয়তে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আগে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ পাকিস্তান রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ হতে পারে ২৪ বিলিয়ন ডলার।
ভারত পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে থাকলেও এ বছর দেশটির রেমিট্যান্স নয় শতাংশ কমবে। আর সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স কমবে চার শতাংশ। অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ পাকিস্তানের নয় শতাংশ বাড়বে।
আরো পড়ুনঃ রহস্যময় ওমানের সুলতান
তবে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। যা জিডিপির ছয় দশমিক দুই শতাংশ। এক্ষেত্রে প্রথমে রয়েছে নেপাল (২৩ শতাংশ), দ্বিতীয়তে পাকিস্তান (নয় দশমিক এক শতাংশ) এবং তৃতীয়তে শ্রীলংকা (আট দশমিক দুই শতাংশ)।
ওমানের শ্রমিকদের জন্য সু খবর
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post