মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে প্রেমের টানে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যুবক দ্বীন মোহাম্মদের কাছে ছুটে এলেন।
মিসনেওয়াতী মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরের ক্যালকলামপরায় সিরাম্বুল গ্রামের মিসকে বিন আলীর কন্যা। মালয়েশিয়ান তরুণীর আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তরুণীকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদ (২৮) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়া এলাকার মো. রেনু মিয়ার ছেলে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক মাসের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে বাংলাদেশে আসেন। পরে ওইদিনই মিসনেওয়াতী প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদের নিজ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ছুটে যান।
এদিকে প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি নয় বছর আগে আমি মালয়েশিয়া যাই। ২০১৯ সালে কুয়ালালামপুর শহরে একটি পার্সের দোকানে চাকরিরত অবস্থায় মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকের সাথেপরিচয় হয়, পরিচয় থেকে ভালোলাগা তার পরে ভালবাসা। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় তিন বছরের। মিসনেওয়াতী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে আসার পর গত মঙ্গলবার আমার গ্রামের বাড়ি করিমগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই, বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় এক লাখ টাকা। কিছুদিন পর আমরা দুই জনই আবার মালয়েশিয়ায় চলে যাব।’
মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে বলেন, ‘দ্বীন মোহাম্মদ আমাকে ভালোবাসে, আমিও দ্বীনুকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে আমি আমার পরিবার ও দ্বীন মোহাম্মদের পরিবারের সম্মতিতে মঙ্গলবার রাতে দুইজনের আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বিয়ে করেছি। এখনাকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। দ্বীন মোহাম্মদের পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য ভাই ও বোনেরাও আমাকে আপন করে নিয়েছেন।’
এদিকে যুবকের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতেই ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী ভালোমনের মানুষ। মিসনেওয়াতী আমাদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post