পূর্বাভাস অনুযায়ী ওমানের বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সোমবার বর্ষণের প্রবণতা কিছুটা কম থাকলেও মঙ্গলবারের পর বুধবারও দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে।
এ যেন শ্রাবণের অঝোর ধারা। ২০ থেকে ৫০ মিলিমিটারের ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওমানের নাগরিক ও বাসিন্দারা। বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকায় বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে, ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের দোকানপাট ও বাসাবাড়ি। তবুও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের ওয়াদি পার হতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ওমান। দেশটির আল দাহিরাহ, আল ‘দাখিলিয়াহ, উত্তর ও দক্ষিণ আল শারকিয়ার সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবারও উত্তর আল বাতিনাহ, আল বুরাইমি এবং আল ধাহিরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় শ্রেণি কার্যক্রম সীমিত ছিলো মাস্কাটেও। এদিন দুপুর ১২ টার পর থেকে মাস্কাটের শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধ রেখেছিলো সরকার।
মৌসুমী লঘুচাপের প্রভাবে সোমবার মধ্যরাত থেকেই মাস্কাটের পাশাপাশি মুসান্দাম, আল বুরাইমি, উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ, আল দাখিলিয়াতে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। এসব অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা কমেছে কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বৃষ্টিকালীন সময়গুলোয় ওয়াদি পাড় হতে গিয়ে প্রবাসীসহ বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবারও বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার সময় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post